অনুব্রত জেলেও পেলেন ‘সর্বক্ষণের সঙ্গী’কে!
নিউজ ডেস্ক::অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তিনি গরুপাচার-কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। ঠাঁই হয়েছে জেলে। তারপর বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলও গরু পাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে আসনসোল জেলে এসেছেন। দু-জনে রয়েছেন পাশাপাশি সেলে। সূত্রের খবর, জেলেও অনুব্রতর সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছেন সায়গল।
জানা গিয়েছে, জেলে অনুব্রত মণ্ডলের দেখভাল করছেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সকালে জলখাবার খেয়ে সায়গলের সঙ্গেই একটু হাঁটাহাঁটি করছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে অনুব্রতর শরীরের যত্ন নেওয়া, কখন কী দরকার- সবই দেখভাল করছেন সায়গল।
অনুব্রত মণ্ডলের নানা কো-মর্বিডিটি রয়েছে। স্থূলতা এবং হেভিওয়েটের সমস্যা তো রয়েইছে, সেইসঙ্গে নানা কো-মর্বিডিটিটে ভুগছেন তিনি। এই শারীরিক সমস্যায় তাঁর দেখভালের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন কাছের লোক সায়গল। সায়গল পুরনো খাতিরে অনুব্রতর যত্ন নেওয়ায় খানিক নিশ্চিন্তও হয়েছে জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে তাঁরা সর্বক্ষণ নজরদারি রেখেছেন।
গরুপাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারের পর লাগাতার হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে. তারপর শারীরিক সমস্যার কারণ দর্শিয়ে জামিন চেয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন খারিজ হয়ে যায়, তাঁর ঠাইঁ হয় জেলে। জেলে তাঁর স্বাস্থ্যের দেখভাল আর কে রাখবেন? এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিলেন সায়গল। তিনিই সর্বদা যত্ন নিচ্ছেন কেষ্টর।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে দিনে ৩৭টি ওষুধ খেতে হয়। এখন তাঁর ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। তাঁকে অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয়। এমনকী নেবুলাইজারও নিতে হয়। ফলে তাঁর জেল হেফাজতে ঘনিষ্ঠরা চিন্তায় পড়ে যান। জেলে কে দাদার যত্ন করবে! কিন্তু বন্দি সায়গল হোসেন এগিয়ে এসেছেন দাদার যত্নে।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেন অনুব্রতের ওষুধপত্র থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়া সবকিছুই দেখভাল করছেন সায়গল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি থাকছেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই। ফলে অনুব্রত মণ্ডলের চিন্তা একটু কমেছে। চিন্তা কমছে জেল কর্তৃপক্ষেরও। সায়গল অনুব্রত মণ্ডলের সম্পর্কে সবকিছুই জানেন।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত। আসানসোল আদালতের নির্দেশের পর আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। আবার ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে তোলা হবে আদালতে। তারপর কী নির্দেশ আসে আদালতের, তার অপেক্ষা।