‘গরুপাচার হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, জড়িত নেতা-পুলিশ’
নিউজ ডেস্ক::গরুপাচার কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি কেতুগ্রামের টিএমসি বিধায়ক শেষ শাহনওয়াজের। তিনি প্রকাশ্যে দাবি করেছেন,এখনো একধিক জায়গায় গরুপাচার হচ্ছে। তাতে জড়িত রয়েছেন নেতা থেকে বিধায়করা। কেতুগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গরুপাচার কাণ্ড সিবিআইয়ের হাতে গ্রফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার মাঝেই টিএমসি বিধায়কের এই মন্তব্য সিবিআইয়ের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গরুপাচার কাণ্ডে কেষ্টর গ্রেফতারির পরেই তাঁকে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রামের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেষ্টর হাত সরতেই কি লাগাম ছাড়া হচ্ছেন দলের একাধিক েনতা। শেখ শাহনওয়াজের গরুপাচার িনয়ে মন্তব্যের পরে শোরগোল পড়ে গিয়ছে রাজনৈতিক মহলে। প্রকাশ্যে গরুপাচার নিয়ে এইভাবে মন্তব্য করার সাহস দেখিয়েছেন টিএমসি বিধায়ক।
গরুপাচারের টাকায় কোটি পতি হয়েছেন কেষ্ট। তাঁর নামে এবং বেনামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। একা কেষ্টর নামে রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। মেয়ের নামে ২৬টি। স্ত্রীর নামে ১৮টি। দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নামে রয়েছে ৪৫টি সম্পত্তি। অন্যদিক অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতি কমলকান্তি ঘোষের নামে রয়েছে ১৮টি সম্পত্তি। বিদ্যুৎগায়েনের নামে রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। কেষ্টর এই বিপুল সম্পত্তির উৎস্য কিন্তু পাচারের কালো টাকা এমনই দাবি করেছে সিবিআই।
গতকাল বোলপুরে কেষ্ট ঘণিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টিএমসি কাউন্সিলরকে আটক করেছে সিবিআই। বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় কেষ্টর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে খবর। তাঁকে আটক করে জেরা করে সিবিআই। তারপরেই কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সুজিত দের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। অনুব্রতর হিসেব রক্ষকের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারীকরা। মণীশ কোঠারির বাড়ি থেকে ৪৫টি তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
তারপরেই গরুপাচার নিয়ে শেখ শাহনওয়াজের এই মন্তব্য । একের পর এক হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারিতে বেশ চাপে রয়েছে শাসক দল। কয়েকদিন আগেই মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত দলের তারকা বিধায়কদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জুন-মিমি-নুসরতরা সব লুটে পুটে খাচ্ছে। সুব্রত বক্সিদের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই শ্রীকান্ত মহাতোর নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে দলের পক্ষ থেকে শোকজও করা হয়েছে। শেখ শাহনওয়াজের গরুপাচার নিয়ে এই মন্তব্যের পর দল কী ব্যবস্থা েনয় সেটাই এখ দেখার। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।