ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিদেশ নীতিকে ব্যবহার করার দিন শেষ
নিউজ ডেস্ক::আগে ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিদেশ নীতিকে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সে দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। একটি অনুষ্ঠানে ইজরায়েল প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান বোঝাতে বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, বিদেশ নীতি ভোটব্যাঙ্কের ওপর আগে নির্ভর করতে। কিন্তু সেই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী প্রথম ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন।
রবিবার বিদেশমন্তরী জয়শঙ্কর তাঁর বই দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে, স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসারটেন ওয়ার্ল্ডের গুজরাতি অনুবাদের উদ্বোধনের সময় বলেন, কিছু রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা রাখতে হয়েছিল। যার ফলে ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ না থাকলেও বিশেষ ভালো ছিল না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী প্রথম ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। ভারত একমাত্র দেশ যে ইজরায়েলের জল সংরক্ষণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
গুজরাতি অনুবাদে নিজের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়শী প্রশংসা করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ২০৪৭ সালের যিনি বিদেশমন্ত্রী হবেন, তাঁকে হিংসা করব। কিন্তু এটা মানতেই হবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সময়ে বিদেশমন্ত্রী হওয়া একটা সৌভাগ্যের বিষয়। নরেন্দ্র মোদীর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস রয়েছে। মানসিকতা রয়েছে। তিনি ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ব তাঁর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিন ভারতের জনসংখ্যা নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ভারতে জনসংখ্যার হার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সকলের পরিবার ছোট হয়ে যায়। এটা বিবর্তনের অংশ। কিন্তু জোর করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিপজ্জনক ফলাফল হতে পারে। আপনারা অনেক দেশে দেখতে পাবেন, জোর করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে গিয়ে গণতন্ত্রের ভারসাম্যের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ইস্যু নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ভারতে আয়ের স্তর বুঝতে হবে। দেশের স্বার্থের কথা বুঝতে হবে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ ছিল, সবার প্রথম দেশের স্বার্থ, দেশের জনগণের স্বার্থ। একটা সময় এসেছিল, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ছিল আমাদের বিদেশ নীতির থেকে বেশি আগ্রহের বিষয়।