স্ক্র্যাপ থেকে তৈরি হচ্ছে এই ক্লাবের দুর্গা মূর্তি
নিউজ ডেস্ক::লোহা কাঠ ও টেরাকোটার মিক্সড মিডিয়া দুর্গার বিশাল স্ট্রাকচার। গত আট মাস ধরে কাজ চলছে শিল্পীর স্টুডিওতে। নিউ সন্তোষপুর আদি দুর্গোৎসবের এই ঠাকুর ফেলে দেওয়া স্ক্র্যাপ দিয়ে তৈরি । কোন রঙের ব্যবহার নয়, প্রকৃতির নিজস্ব রঙেই বানানো এই ঠাকুর রঙিন। শিল্পী উৎপল ঘোষ ও সহকারি ভাস্কর ঘোষ তৈরি করছেন এই প্রতিমা। নিউ সন্তোষপুর আদি দুর্গোৎসবের মণ্ডপেই তৈরি হচ্ছে এই দুর্গা।
মহালয়ার দিন চোখ দান হবে কোন রঙ ছাড়া। ক্লাবের এক সদস্যের কথায়, , ‘আবার মহালয়ার ভোরে বেজে উঠবে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলার সেই সুর, কুমোর পাড়ায় দেবীর চক্ষু দানের ধুম পড়ে যাবে, পাড়ায় পাড়ায় মন্ডপ সজ্জিত হবে, আবার সবাই নতুন পোশাক পড়বে,সবার প্রস্তুতি থাকবে মাকে বরণ করে নেয়ার। হয়তো এবার মাকে আমরা খুব বড় করে পূজা করতে পারব ।তবুও মা তো মাতিনি আমাদের পূজা ঠিকই গ্রহণ করবেন, আনাঢ়ম্বরতার মধ্যে হলেও আমরা মায়ের আগমনী উদযাপন করবই,মায়ের কাছে একটিই প্রার্থনা মাগো এই মহামারী থেকে আমাদের মুক্ত করো। ঠাকুর পূজো দেখব সবাই সঙ্গে থাকবে জাগ্রত পরিবারে’।
এই ক্লাবে পুজো প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬০ সালে। এটা তাঁদের ৬২ তম বর্ষের পুজো। যাদবপুর ৮ বি বাস স্ট্যান্ড থেকে By অটো ৫-৭ মিনিট (সন্তোষপুর মিনি বাস-স্ট্যান্ড এর কাছে ) আর যারা বাই পাস থেকে আসবেন তারা অটোতে (সন্তোষপুর মিনি বাস-স্ট্যান্ড এর কাছে / আশীর্বাদ মিষ্টান্ন ভান্ডার এর নেমে ২-৩ মিনিটের হাঁটা পথে আসতে পারবেন।
কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে অটোতে জোড়া ব্রিজ। সেখান থেকে আশীর্বাদ এর পাস থেকে হেঁটে ২ থেকে ৩ মিনিটে পৌঁছানো যায় সেখানে।
শিয়ালদাহ দক্ষিণ থেকে যাদবপুর লোকাল থেকে নেমে হেঁটে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় এই মণ্ডপে। তাঁদের থিমে রয়েছে কবিতা। তাঁরা লিখেছেন অনন্ত মননের অসীম বিশ্বাসে, শুধু তোমাকেই খুঁজি, কেমন করে বলি….তুমি আমার কে’। সবমিলিয়ে দুর্গাপুজোকে অন্য আঙ্গিকে দেখাতে প্রস্তুত এই ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার একদম শেষ প্রান্তে এই ক্লাব। সেখান থেকে খবরের পাতায় উঠে আসা সহজ নয়। বিগত কয়েক বছরে সেট তাঁরা করে দেখিয়েছে।