সুপ্রিম-স্বস্তি অভিষেকের
নিউজ ডেস্ক::সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন ফিরল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কয়লা-কাণ্ডে ইডি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রাতেও কোনও বাধা থাকছে না। তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন, সোমবার ইডি আইনজীবীকে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে সাড়ে ছ-ঘণ্টা জেরা করে ইডি। তার আগে দিল্লি অপিসে দু-বার জেরা করা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কয়লা পাচার তদন্তে ইডিকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। এই মর্মে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। বিশেষ করে তাঁরে চিকিৎসার জন্য দুবাই যেতে হয়। তাই যাতে তাঁর বিদেশ যাত্রায় কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন অভিষেক।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন এই মামলার শুনানিতে বলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহযোগিতা করতে হবে। তাঁর বিদেশ যাত্রায় কোনও অসুবিধা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইডির দাবি ছিল, দুবাইয়ে চিকিৎসার নাম করে বেপাত্তা হতে পারেন তিনি। তাই তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানান ইডির আইনজীবীরা।
শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল সোমবার পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও চরম পদক্ষেপ করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্থাৎ তাঁকে গ্রেফতার বা আটক কিছুই করা যাবে না সোমবার পর্যন্ত। ওই মামলার শুনানিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট অভিষেকের পক্ষে ইতিবাচক রায় দিল।
অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও বড় পদক্ষেপ করা যাবে না। বিদেশ যাত্রাতেও বাধ সাধা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন অভিষেক। তবে বেআইনি কয়লা পাচার মামলায় ইডির সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে যেতে হবে। শুক্রবার ইডির দফতরে হাজিরার পর বেরিয়ে একে একে অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক ও বিজেপিকে একহাত নেন।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এর আগেও অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অভিষেক। অভিযোগ ছিল, ইডি তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার দিল্লিতে তলব করছিল। সেই মামলায় অভিষেক জানিয়েছিলেন, বারবার দিল্লি গিয়ে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর সেই আবেদন প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করলেও পরে সুপ্রিম কোর্ট মেনে নেয়। তাঁকে কলকাতায় জেরা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেইমতো রুজিরার পর অভিষেককেও জেরা করা হয় কলকাতার অফিসে। সুপ্রিম কোর্ট তখন জানিয়েছিল, কলকাতায় অভিষেককে জেরা করতে গেলে ইডি অফিসারদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে।