বিজেপিতে নতুন ভূমিকায় বরখাস্ত হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা
নিউজ ডেস্ক::কয়েকটি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক রাজ্যে বরখাস্ত হওয়া মুখ্যনমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জন্য দল নতুন ভূমিকার কথা ঘোষণা করেছে। বিরোধীকে ঐক্যকে কোনও জায়গা দিতে নারাজ বিজেপি। তাই একাধিক রাজ্যে দলের নেতৃত্বকে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পঞ্জাব ও চণ্ডীগড়ের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে আপ। পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। বিশেষ করে কৃষি আইনের বিরোধিতা করে পঞ্জাবে আকালি দল বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে। তারপর থেকে বিজেপি পঞ্জাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভের পর কেন্দ্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
হরিয়ানায় বিজেপির পর্যবেক্ষক হিসেবে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দায়িত্ব নেবেন। হরিয়ানায় ২০১৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপি বেশ কয়েকটি আসন হারিয়েছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনকে সামনে রেখে হরিয়ানায় বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপ্লব দেবকে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কেরলের দায়িত্ব পেয়েছেন। এখানে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও বিজেপি জয় করতে পারেনি। কেরলে নিজেদের জায়গা করতে বিজেপি নতুন করে ঝাঁপাতে চাইছে। বাংলায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বে আসছেন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মণ্ডল পাণ্ডে। সহকারি পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বিজেপি বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে না পারলেও আগের থেকে আসন সংখ্যা বেড়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বার বার বিরোধী জোটের জন্য ডাক দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই বাংলাকে বিজেপি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে। বর্তমানে সুনীল বনসল বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছে। মঙ্গল পাণ্ডে সুনীল বনসলের সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিহারের দায়িত্বে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে। তিনি আগে হরিয়ানার দায়িত্বে ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব পাচ্ছেন লক্ষীকান্ত বাজপেয়ী। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের সরকার বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর চেষ্টার একাধিক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন।