কংগ্রেস কিংবা মমতা নয়, ২০২৪-এর লক্ষ্যে বিরোধী ঐক্যের ভরসা তাদের নেতা!
নিউজ ডেস্ক::নয়াদিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে এনসিপির অষ্টম জাতীয় সম্মেলন। সেখানেই উঠে এলে বিরোধী ঐক্যের কথা। বিরোধী ঐক্য নিয়ে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এনসিপির জাতীয় সম্মেলনে আলোচনা করা হয়। সেখানে শরদ পাওয়ারকেই ফের নেতা নির্বাচন করা হয়।
দলের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এনসিপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদ প্রফুল প্যাটেল এবং কেরলের রাজ্য সভাপতি পিসি চাকো বলেছেন, তাদের দলের সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সব বিরোধীদের একসঙ্গে করতে পারেন।
তিনি আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা ডেকেছিলেন। সেখানে ২১ টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে সবাই একটি নামই প্রস্তাব করেছিল। তা হল শরদ পাওয়ার।
প্রফুল প্যাটেল বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক কিংবা সীতারম ইয়েচুরি, কেসিআর, এমকে স্ট্যালিন, এমপ্রকাশ চৌতালা ছাড়াও কংগ্রেস নেতারাও শরদ পাওয়ারের কাছেই আসেন। তিনি বলেছেন, সবাই চান ওই একজনই সবাইকে একসঙ্গে করবেন। সবাইকে দিশা দেখাবেন।
এনসিপির জাতীয় সম্মেলনে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন কেরল এনসিপির প্রধান পিসি চাকো। তিনি বলেছেন, ওই দলটির সঙ্গে তিনি আগে যুক্ত ছিলেন। তিনি সব বিরোধীদলের উদ্দেশে বলেছেন, কংগ্রেস অবস্থা আর আগের মতো নেই। দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে গত ৪ বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটি পঞ্চায়েতেও জয়ী হতে পারেনি, তারা কীভাবে দেশকে নেতৃত্বে দেবে, সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি।
এনসিপি জাতীয় সম্মেলনে আগে শনিবার তাদের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করে। যেখানে বিরোধী ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে দলের সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকেই ফের সেই আসনেই রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দলের জাতীয় সম্মেলনে বলা হয়েছে, শরদ পাওয়ার বিরোধী ঐক্যে নেতৃত্বের ভূমিকা নেবেন না। তবে সেখানে হাজির অনেকেই যেমন হরিয়ানার এনসিপি সভাপতি চৌধুরী বেগ পাল বলেছেন, পাওয়ারই বিরোধী ঐক্যের মুখ এবং ২০২৪-এর প্রধানমন্ত্রী।
দলের জাতীয় সম্মেলনে সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার দলের সদস্যদের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন। তার মধযে রয়েছে কৃষক, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপরে আঘাত, মুদ্রাস্ফীতি, মহিলাদের নিরাপত্তা, বেকারত্ব, সীমান্ত সমস্যা এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার। পাশাপাশি তিনি বিনকিস বানোর গণধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের মুক্তি নিয়েও বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেছেন।