দুর্গাপুজোর একটি মূল্যবান দলিল
নিউজ ডেস্ক::দুর্গাপুজো আসন্ন। আকাশ বাতাস জুড়ে এখন সেই পুজোর আগমনী। চারদিকে পুজোর গন্ধ, মাঠের মাঝে কাশের দোলা, প্রতি পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলের ধীরে ধীরে তৈরি হয়ে ওঠা, দোকানে দোকানে পুজোর কেনাকাটা, আর সেইসঙ্গে নানান পুজোবার্ষিকীর প্রকাশ।
আর শেষের এই ব্যাপারটিতে এসেই কিন্তু বলতে হয় পিকেজির পুজোবার্ষিকীর কথা। চারপাশে অনেক নামীদামী প্রকাশনার ম্যাগাজিন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখকদের লেখায় তারা সবকটিই সমৃদ্ধ। পিকেজির এই বিশেষ শারদীয়া পত্রিকা – “ঐতিহ্যের আবহে কলকাতার দুর্গাপুজো “-য় সেরকম নামকরা কোনো লেখক হয়তো নেই, তবু এই বইতে যা আছে – তার মূল্য কিন্তু অনেক। উপন্যাস নয়, গল্প নয়, কবিতা নয় – আছে ঠাসবুনোনে কলকাতার দুর্গাপুজোর নানা রকমের তথ্য।
ঝকঝকে ছাপা, উন্নত মানের কাগজ, – আর তারই দুমলাটের মধ্যে দুর্গাপুজোকে ঘিরে নানা ইতিহাস, তথ্য, স্মৃতিচারণা, সাক্ষাৎকার, জানা অজানা নানান কথা – সব মিলিয়ে এটির প্রতিটি পাতাই মূল্যবান। অসম্ভব যত্নে লেখকরা এক একটি নিবন্ধ লিখেছেন, আর সেই একই যত্ন ও ভালবাসা দিয়ে সম্পাদকরা সেই সব লেখাকে একত্র করে তুলে দিয়েছেন পাঠকদের হাতে ।
পুজোর আগেই পুজোকে নিয়েই এ এক অমূল্য পুজোবার্ষিকী – সংগ্রহ করে রাখার মতো বই, যাকে ইংরেজিতে বলে Collector’s Item। দুর্লভ সব তথ্য, ইতিহাস, কলকাতার বিশেষ কয়েকটি পুজোর কথা – সবকিছু একসঙ্গে এভাবে সচরাচর হয়তো পাওয়া যায় না। নানাভাবে, নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্গাপুজোকে দেখা – যা শুধু পুজো বা উৎসব নয় – বরং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিশ্বাস, ভক্তি, ঐতিহ্য, শিল্প, জীবিকা, সামাজিকতার একটি প্রাণবন্ত বহমান পরম্পরা।
ইউনেস্কো থেকে আমাদের এই পুজোকে যে “Intangible Cultural Heritage” বা ” অনুভবনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তা তো এইসব মিলিত কারণেই । অনেক ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় সেই পরম্পরার কথাই পিকেজি তুলে ধরেছে তাদের এবারের এই ম্যাগাজিনে – চূড়ান্ত নিষ্ঠা, যত্ন ও পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে । একে দুর্গাপুজোর একটি মূল্যবান দলিল হিসেবে বলা যেতে পারে।
বইটির প্রচ্ছদ, ভেতরের একটি হাতে আঁকা ছবি, বিভিন্ন সময়ের চাররকমের দুর্গামূর্তির ফটোগ্রাফ এবং পুরো সূচিপত্র আছে যার থেকে এটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু আন্দাজ পাওয়া যাবে ।