প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের পরিবর্তে কে?সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগেই জল্পনা শুরু
নিউজ ডেস্ক::প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হবেন কে, সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের আগেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, কে হবেন পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, তা নির্ভর করছে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কে আসবেন, তার উপর। অর্থাৎ অধীরের ভাগ্য সরু সুতোর উপর ঝুলছে বর্তমানে।
এ আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কেউ কংগ্রেস সভাপতি হলে অধীরই প্রদেশ সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কেউ কংগ্রেস সভাপতি হলে প্রদেশ সভাপতি পদে নতুন কেউ বসতে পারেন। সেক্ষেত্রে অধীরের সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে শশী থারুরের মতো কেউ যদি সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতির পদে বসেন, তবে অধীরের প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা হবে না। সেক্ষেত্রে অধীরের জায়গায় অন্য কেউ বসতে পারেন প্রদেশ সভাপতির আসনে।
রাজ্য রাজনীতির একাংশের মতে, অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে রয়েছেন গান্ধী পরিবারের বদন্যতায়। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থতা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামলে যাচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে। রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ফের সেই পদে আসীন হতে চাইছেন না। তিনি দলের প্রবীণ নেতাদের অনুরোধও ফিরিয়ে দিয়েছেন।
২০১৯-এর নির্বাচন শোচনীয় ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই চাইছেন কংগ্রেসের সর্বভারতী সভাপতি পদে বসুন অ-গান্ধী কেউ। এমনকী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ওই পদে বসাতেও ঘোরতর আপত্তি রয়েছে রাহুলের। অক্টোবরে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। গান্ধী পরিবারের বাইকে কাউকে কংগ্রেস সভাপতি পদে বসাতে চাইছেন সোনিয়া-রাহুল দুজনেই। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে গান্ধী পরিবার দূরত্ব তৈরি করছে।
সম্প্রতি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের একাংশ বেরিয়ে গিয়েছেন দল ছেড়ে। কপিল সিব্বল ও গুলাম নবি আজাদের মতো নেতা কংগ্রেস ছেড়েছেন। তবে তারপর বিক্ষুব্ধ নেতাগোষ্ঠীর মধ্যে আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, মুকুল ওয়াসনিকের মতো নেতার ক্ষোভ প্রশমণ হয়েছে। ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবিতে তাঁরা সরব ছিলেন, তাঁরা প্রতিবাদের পথ থেকে সরে এসে আবার এক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় পদে নির্বাচন হচ্ছে। তারপর নতুন সভাপতিকে অন্য পদাধিকারীদের বেছে নেওয়ার অধিকার প্রদান করা হয়েছে। ফলে প্রদেশ সভাপতি পদে কে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী হবেন তিনিই। সেক্ষেত্রে অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রসের সভাপতি পদ হারাতে পারেন। তাঁর দায়িত্ব কমতে পারে।
আসলে অধীর চৌধুরী নিজেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে পারেন। তিনি সোনিয়ার কাছে তদ্বিরও করেন এই বিষয়ে। তাহলে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে কে বসবেন? ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর কাছে দুই নেতার নাম প্রস্তাব করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহলের দুই নেতার নাম প্রস্তাব করেছেন। অধীরের ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবই নির্ভর করবে নতুন সভাপতি কে হবেন, তার উপর।