পুজো শপিং – মধ্যবিত্তে/নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য কিছু টিপস

0 0
Read Time:2 Minute, 57 Second

নিউজ ডেস্ক::পুজো দরজায় চলে এসেছে।মহালয়া আসন্ন।”যা দেবী সর্বভূতেষু প্রভাতী সঙ্গীত জানিয়ে দেয় উঠোনে টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে শিউলি আর অদূরেই ওই বুনো প্রান্তরে মাথা দোলাচ্ছে কাশফুল।এবার যেতে হবে সবাইকে নিয়ে পুজোর কেনাকাটায়।
গতকাল কিছু বোনাস এসেছে হাতে।বাড়ির গিন্নি সারা বছর ধরে হাজার ২ জমিয়েছে।আভাবের সংসারে চালের মতো টাকাও তো বাড়ন্ত।


এই সব দিকটা বুঝে শপিংয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটা জিনিস বুঝে নিন।
কার জন্য কি কি কিনতে হবে – নিজের বাবার ধুতি-পাঞ্জানি,মায়ের একটা তাঁতের শাড়ি,সায়া,ব্লাউজ,খোকার একটা ফুল প্যান্ট,একটা শার্ট, একটা গেঞ্জি, খুকির এক সেট চুড়িদার কামিজ,স্ত্রীর একটা শাড়ি,সায়া ব্লাউজ, কাজের মাসি এবার একটা ভালো তাঁত চেয়েছে।চটি ও জুতো সবারই এক জোড়া করে।
ওই অল্প টাকায় এতকিছু সামলাবেন কী করে? রইলো কয়েকটা টিপস –


১) মলে নয়,কোনো খোলা বাজারে যান।যেখানে একসঙ্গে সব পাবেন।দক্ষিণে হলে গরিয়াহাট,উত্তরে হলে হাতিবাগন।
২) বিক্রেতার চিৎকারে প্রলভিত না হয়ে আগে দোকা গুলোর পাশ দিয়ে একটু দেখতে দেখতে ঘুরে সিদ্ধান্ত নিন কোন দোকান মেটামুটি আপনার বাজেটের মধ্যে।
৩) স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে যতই দাবি করুক নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখুন।স্ত্রীকে বোঝান ‘কাট ইওর কোট একর্ডিং টু ইওর ক্লথ’ থিওরি।
৪)হাতিবাগান মার্কেট,গরিয়াহাট মার্কেট,যাদবপুর,টিটাগর,নৈহাটি ইত্যাদি মার্কেটে দরদাম করার প্রচুর সুযোগ আছে।সেটা বুঝে দাম বলবেন।
৫) দাম কম বলায় দোকানি ওই বাজেটে অন্য কিছু ধরিয়ে দিলে রাজি হবেন না।
সবারটা কেনার পরে হয়তো বুঝতে পারছেন,আপনার পকেট ‘গড়ের মাঠ।’ তখন নিজেকে বোঝান যে আপনি তো কারো সন্তান,কারো স্বামী আবার কারোর বাবা- মা।


বাইরে বেরিয়ে মাঝারি গোছের কোনো দোকান থেকে ছেলে মেয়েদের কিছু খাবার আর আপনাদের জন্য চা-বিস্কিট।সবাই মিলে আনন্দে বাড়ি ফেরার বাস ধরুন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!