ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে মেক্সিকো শহর!
নিউজ ডেস্ক::ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে মেক্সিকো । রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কে মেক্সিকো শহরের মানুষেরা রাস্তায় নেমে আসেন। এখনও পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি রাজধানী থেকে প্রায় ৪০০ কিমি পশ্চিমে এবং মিচোয়াকান রাজ্যের কোলকোম্যানের ৫৯ কিমি দক্ষিণ বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ১৫ কিমি গভীরতায় এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে জানা গিয়েছে। জায়গাটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের কাছে অবস্থিত বলেও জানা গিয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বরের এই ভূমিকম্পটি এদিন ল্যাটিন আমেরিকার তৃতীয় বড় ভূমিকম্প।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর টুইট করে বলেছেন, পশ্চিমের রাজ্য কোলিমার মানজানিলোতে একটি শপিং সেন্টার ধ্বংলাবশেষের নিচে চাঁপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এবারের ভূমিকম্পে মেক্সিকো শহরে তেমন কোনও ক্ষতি না হওয়াটা বিশ্বাস করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এক বাসিন্দা জানিয়েছেন তিনি ভেবেছিলেন হার্ট অ্যাটাক হবে। তিনি এব্যাপারে ৫ বছর আগের ভূমিকম্পের কথা স্মরণ করে বলেছেন, সেই সময় অনেক লোক মারা গিয়েছিল। এই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ২০১৭-র ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তা সঠিকভাবে মেরমত করা হয়নি, সেই কারণে ভয় আরও বেশি।
১৯৮৫ ও ২০১৭ সালের বিপর্যয়কে স্মরণ করার জন্য রজধানীতে মহড়া চলছিল। সেই সময় মেক্সিকো সিটিতে ভূমিকম্পের অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সেই সময় বাসিন্দারা বহুতলগুলি খালি করে দেন। অনেকেই বলছেন, অ্যালার্ম বাজার পরে অনেকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না ভূমিকম্প হতে পারে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে কম্পন অনুভূত হয়।
মিচোয়াকানে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও এলাকার ঘরবাড়ি এবং গ্রামীণ হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে। মেক্সিকো শহরের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। একটি পাতাল রেলের লাইনে ক্ষতি হয়।
ভূমিকম্পের পরে কয়েক ডজন আফটার শক হয়েছিল। তার মধ্যে শক্তিশালীটি ছিল ৫.৩ মাত্রার।
উল্লেখ করা প্রয়োজন যে মেক্সিকো বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারের মধ্যে অবস্থিত। এই জায়গাতেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি পাশের টেকটোনিক প্লেটের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মেক্সিকো সিটিতে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বহু বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ২০১৭ সালে সেই ভূমিকম্পের বার্ষিকীতেই ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।