কাঠগড়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ
নিউজ ডেস্ক::চোখের ছানি অপারেশন করতে এসে ৩ জন চোখ হারালেন ও ১৫ জনের চোখের অবস্থা খুব খারাপ।অভিযোগ বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের বিরুদ্ধে।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে ১২ সেপ্টেম্বর ছানি অপারেশন করানো হয় ১৮ জনের।জানা যায় ১৮ জনের মধ্যে ১৫ জনের দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, এরপর তড়িঘড়ি তাঁদের সকলকে পৃথক-পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে করে ভিজ্যুনাল ইনস্টিটিউট অব অবথার্মোলজিতে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর এখানকার চিকিৎসকরা তাঁদের দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা করেন। তারপরই তারা জানিয়ে দেয় যে দু’জনের চোখ কার্যত বাদ দিতে হবে।
এটার দায় স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিতে হবে। কয়েকদিন আগে একটি অর্ডার সমস্ত জেলাতে চলে গিয়েছিল। সেই অর্ডারে লেখা ছিল যে প্রচুর অপারেশনের ফর্ম হচ্ছে তাই কোটা বেধে দেওয়া ছিল। কিন্তু যন্ত্রপাতি যদি স্টেরিলাইজ না করা হয় তাহলে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে। এই ঘটনার যথাপযুক্ত তদন্ত হোক।’
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে মানুষ এখন গোরু ঘোড়া।মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে কলেজের স্টেরিলাইজেসন প্রসেস ঠিক ছিল না। যার কারণে চোখে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। রোগীদের মধ্যে কারোর বয়স চল্লিশ, কারোর আবার বেয়াল্লিশ! তাঁরা অন্ধত্ব অর্জন করেছেন এই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের গাফিলতির কারণে।
আরও জানা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার কক্ষও চক্ষু অস্ত্রোপচারের জন্য অনুপযুক্ত ছিল। সেই কারণে তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। আরও অভিযোগ, এখনও স্বাস্থ্য বিভাগ এর দায় স্বীকার করে নি।বিজেপির পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।