শুভেন্দু গড়ে সিপিএম হারল তৃণমূলের কাছে!
নিউজ ডেস্ক::নন্দীগ্রাম একটা সময় ছিল বামেদের দখলে। কিন্তু ২০০৭-এর আন্দোলনের পরে রাজ্যের মতোই সেখানকার ক্ষমতা হারায় বামেরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারীর জয়লাভের পরেও সমবায় নির্বাচনে ফলাফল ছিল এক-এক। এবার মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের।
ছটি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি না থাকলেও বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী দিয়েছিল। অন্যদিকে প্রথমে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী প্রার্থী দিলেও, পরে জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তৃণমূলের ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জানা গিয়েছে, মোট ভোটার ৩২৪, ভোট দান করেছেন ১৯৭ জন।
মহম্মদপুর হাইমাদ্রাসার পরিচালন কমিটির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। তাঁরা স্লোগান দেন জিতেছে জিতেছে, তৃণমূল জিতেছে। বিজেপির সঙ্গী সিপিএম হেরেছে।
গত সপ্তাহে বিজেপি নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। ১১-১-এ জয়লাভ করেছিল বিজেপি। সেই সময় উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিল বিজেপি। তার আগে ২১ অগাস্ট নন্দীগ্রাম ২ নং নম্বর ব্লকের ভানু ভুঁইয়া-বিরুলিয়া-ঘোলপুকুর সমবায় সমিতির ৫২ টি আসনের সমবায় নির্বাচনে ৫১ টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে এই মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলেই ছিল অস্বস্তি। মহম্মদপুর হাইমাদ্রাসার পরিচালন সমিতির আসন সংখ্যা ছয়। প্রত্যেকটি আসনে লড়াই করার জন্য নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীও মনোনয়ন জমা দেয়।
শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বৈঠক করে তৃণমূলের জেলা কমিটি। আলোচনায় ঠিক হয়, দুই শিবির থেকে তিনজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও তৃণমূলে এই বিভাজন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি। পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও।