মন্ডপ দর্শনে গেলে মিলতে পারে নগদ অর্থ!
নিউজ ডেস্ক::পুজোর মন্ডপে গেলে লক্ষ্মীলাভ! মিলতে পারে নগদ টাকা। শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও এমনই চমকের আয়োজন করেছে হাওড়ার সালকিয়া বারোয়ারী পুজো কমিটি। হাওড়ার সালকিয়া বারোয়ারী পুজো কমিটির দুর্গোৎসব এবার দেড়শ বর্ষে পদার্পণ করল। সার্ধশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পুজো কমিটি। এবার তাদের ভাবনা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’।
আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন কারুকার্যে সেজে উঠেছে হাওড়া জেলার অন্যতম প্রাচীন এই সর্বজনীন দুর্গোৎসব। আকর্ষণীয় মন্ডপে থাকছে লক্ষ্মীলাভের সুযোগ। তবে এ সুযোগ কেবল মা-বোনেদের জন্যই। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সমিত কুমার ঘোষ জানান, পঞ্চমী থেকে নবমীতে সন্ধ্যায় প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর লটারির মাধ্যমে মহিলাদের নির্বাচন করা হবে। তাঁদের ৫০০ টাকা করে উপহার দেওয়া হবে।
তিনি জানান, প্রথমে কাউন্টারে কুপন লেখা হবে। তারপর সাঁকো দিয়ে পুকুরের মাছ বরাবর লক্ষ্মীর ভান্ডার, সেই ভান্ডারে ড্রপবক্স থাকবে। সেখানে ওই কুপন ড্রপ করবেন দর্শকরা। তারপর প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর লটারির মাধ্যমে পুরষ্কার দেওয়া হবে। পুজোর দিনে এহেন লক্ষ্মীলাভের সুযোগে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়েছে হাওড়া শহরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটের আগে ইস্তেহারে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মহিলাদের ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের মাধ্যমে জেনারেল কাস্ট মহিলাদের একাউন্টে ৫০০ টাকা এবং এসটি/এসসি মহিলাদের জন্য হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকার ঘোষণা অনুযায়ী কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যায় এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করার জন্য। দুয়ারে সরকার প্রকল্প মাধ্যমে লক্ষীর ভান্ডার আবেদন করে সমস্ত মহিলাএবং পশ্চিমবঙ্গের আড়াই কোটি মহিলা আবেদন করেছিলেন।
বর্তমান এই প্রকল্পের টাকা প্রত্যেকটি মহিলার একাউন্টে চার থেকে পাঁচ কিস্তি টাকা প্রত্যেকটি আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমান লক্ষীর ভান্ডারের নিয়ম যা ছিল তা বদলে দেওয়া হয়েছে।
স্কিমের অধীনে, এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সাধারণ শ্রেণীর জন্য, সরকার যোগ্যতার মানদণ্ডের উপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এই স্কিমের জন্য ১২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পও তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অংশ ছিল। এই স্কিমের বাস্তবায়ন শুরু হবে পয়লা জুলাই ২০২১ থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই কিছু যোগ্য সুবিধাভোগীর একটি ডাটাবেস রয়েছে যেমন ৩৩ লক্ষ নারী সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধাভোগী। এই সুবিধাভোগীদের এই স্কিমের সরাসরি বেনিফিট ট্রান্সফারের অধীনে ক্রয় করা যেতে পারে। বাকি পরিবারের জন্য সরকার আবেদন করবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে রাজ্যের গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।