বাংলার পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা ইউনেস্কোর – ক্রেডিট নিতে চায় তৃণমূল ও বিজেপি
নিউজ ডেস্ক::এ পোড়া দেশে রাজনীতির বাইরে কিছুই হয় না।এ বছর ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গা পুজো।ফলে বাঙালির মধ্যে মতমাতি হয় স্বাভাবিক।কিন্তু সেই মাতামাতি যেন কখন রূপ নিয়ে নিয়েছে রাজনৈতিক দলাদলিতে। কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কৃতিত্ব কার বেশি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই বছর কলকাতায় পুজো শুরুর একমাস আগেই বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। আবার কলকাতা জাদুঘরে কিছুদিন আগে সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে দুর্গাপুজো বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেখানে ছিলেন বিজেপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতারাও। আর সেখান থেকেই বলা হয়, এই স্বীকৃতিতে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই। পাল্টা বক্তব্য রাখে রাজ্য।কিন্তু যার গবেষণা ও উৎসাহে এই স্বীকৃতি সেই তপতী গুহ ঠাকুরটা বলেন ,পুজো নিয়ে আমার কাজ বহুদিনের। আমি দুই দশক আগে গবেষক হিসেবে পুজোর কাজে নামি। গবেষণার পর্ব শুরু হয় ২০০২-০৩ সালে। আমার গবেষণার বিষয়টা ছিল দুর্গাপুজোর শিল্প নিয়ে। শিল্পের একটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি হচ্ছে। পুজো একটি শিল্প প্রদর্শনীতে পরিণত হচ্ছে।
২০১৮ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে আমাকে বলা হয় ইউনেস্কোর মনোনয়নের জন্য পুজোকে প্রস্তাব দেওয়া হবে, আমি দায়িত্ব নেব কি না।” তিনি বলেন, “এটি আমার একার স্বীকৃতি বলা একেবারেই ঠিক না। কারণ, আমরা সকলে মিলে কাজটি করেছিলাম।”