এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে ভারত?
নিউজ ডেস্ক::মেলবোর্নে ২৩ অক্টোবর টি ২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্য়াচে পাকিস্তানকে হারালেও সুপার ফোরে বাবর আজমের দলে পরাস্ত হয়েছিল রোহিত শর্মার দল। টি ২০ বিশ্বকাপের আগে জল্পনা শুরু হয়েছে ভারতের পাকিস্তান সফর নিয়ে।
বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা ১৮ অক্টোবর। তার আগে বিসিসিআইয়ের তরফে একটি চিঠি পৌঁছেছে সমস্থ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার দফতরে। যাতে রয়েছে আগামী বছর ভারত কোন কোন মাল্টি টিম ইভেন্টে অংশ নেবে তার তালিকা। এতে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় মহিলাদের টি ২০ বিশ্বকাপ, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের টি ২০ বিশ্বকাপ, পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ এবং দেশের মাটিতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। আগামী বছর বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ হবে ৫০ ওভারের ফরম্যাটেই।
২০০৮ সালের পর ভারত কখনও পাকিস্তান সফরে যায়নি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও মুখোমুখি হয় না এই দুই দেশ। এমনকী ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যে হবে না সেটাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে স্পষ্ট হয়েছে। আগামী বছরের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। এর আগে, পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা বৈঠক করেছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের সঙ্গে। এশিয়া কাপ পরিচালনা করে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। তাঁর শীর্ষ পদে এখন আসীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা চলছে, এশিয়া কাপ খেলতে ভারত পাকিস্তানে যাবে কিনা সে ব্যাপারে।
ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না যায় এবং পাকিস্তান যদি সে কারণে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে না আসে তাহলে যে জটিলতা তৈরি হবে সে বিষয়টি সকলেরই মাথায় রয়েছে। যদিও এটাও বাস্তব কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া ভারতের পাকিস্তান সফর সম্ভবই নয়। পাকিস্তানে এখন বিভিন্ন দেশ সফর করছে। এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআইকে তাকিয়ে থাকতেই হবে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই। যদিও বোর্ড এশিয়া কাপে দল পাঠাতে যে প্রস্তুত তা বিসিসিআইয়ের চিঠিতেই স্পষ্ট। কিন্তু সরকারই যে শেষ কথা বলবে সেটাও জানিয়ে দিচ্ছেন বিসিসিআই কর্তারা। এদিকে, বিশ্বকাপ আয়োজনে বিসিসিআইয়ের আর্জি না মেনে যদি কর ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে বিসিসিআইয়ের বিপুল অঙ্কের লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।