মুড়িগঙ্গাতে ব্রিজ তৈরির স্বপ্ন দেখালেন মমতা
নিউজ ডেস্কঃ সাগরদ্বীপে দাঁড়িয়ে গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা করার দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ বুধবার সাগরে উড়ে যান তিনি। সেখানে ডুমুরজলার আদলে নতুন একটা হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। সেই হেলিপ্যাডের উদ্বোধনের পাশপাশি মেলা নিয়ে সার্বিক বৈঠক করার কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীর।
তবে হেলিপ্যাড থেকে নেমেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। আর সেখানেই ফের একবার কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে জোর চর্চা। তবে এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী কপিলমুনী আশ্রমে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও ভারত সেবাশ্রমেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। আর এরপর সন্ধ্যায় প্রস্তুতি নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রশাসনিক প্রধানের।
জল পেরিয়ে প্রায় কোটির কাছাকাছি মানুষ ভিড় জমান গঙ্গাসাগরে। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে মানুষ সাগরমুখী হন। আর সেই বিষয়টিকেই এদিন তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী। আর তা তুলে ধরে গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা করার দাবি জানান তিনি। আরও বলেন, কুম্ভমেলাতে বহু মানুষ আসেন।
কিন্তু সেই মেলার সঙ্গে গঙ্গাসাগর গুলিয়ে ফেলা উচিৎ নয় বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই মেলাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আর্থিক ভাবে কেন্দ্র। কিন্তু গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে এক টাকাও কেন্দ্র আমাদের দেয় না বলে অভিযোগ মমতার। তাঁর মন্তব্য, আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফের একবার গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার দাবি জানান তিনি।
এদিন সাগরে দাঁড়িয়েই সেখানকার উন্নতিতে সরকার কীভাবে কাজ করছে সেই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে তীর্থযাত্রীদের সুবিধা কি কি থাকছে সেই ব্যাখ্যাও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা বলতে গিয়ে মুড়িগঙ্গার উপর ব্রিজ তৈরির কথা বলেন তিনি। বলেন, মুড়িগঙ্গায় সেতুর প্রয়োজন। বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। ফলে নিজেরাই সবরকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনিক প্রধানের। এমনকি টাকা জোগাড় হলে সরকারই এই ব্রিজ তৈরি করবে বলেও দাবি তাঁর।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ব্রিজ তৈরি নিয়ে ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্র এবং নীতি আয়োগকে বলা হয়েছে। কিন্তু কর্ণপাত করছে না বলে দাবি। তবে পুরোটাই বিশাল যজ্ঞ বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুড়িগঙ্গার উপর এই ব্রিজ তৈরি করা হলে সহজে সড়ক পথে সাগরে পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।