টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিনিদ্র রাতে রাস্তায় – উত্তাল আন্দোলন
নিউজ ডেস্ক::দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান করেও সরকারের পক্ষ থেকে - সদর্থক কোনো ভূমিকা না পেয়ে এবার ২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনের অভিমুখ পরিবর্তন হলো।
সোমবার দিনভর অবস্থানের পর সারা রাত সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনের রাস্তায় বসে থাকলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। চাকরি প্রার্থীদের স্পষ্ট কথা, পুলিশ অবস্থান তুলতে এলেও তাঁরা উঠবেন না। নিয়োগ সংক্রান্ত নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে আরও একবার জানিয়ে দেন এদিন। এদিকে এপিসি ভবনের সামনে রাতভর মোতায়েন ছিল পুলিশ।
যদিও পুলিশ তাদের জোর করে তোলার চেষ্টা করে নি।বরং মাইকে বলেছেন,যেন ওদের বিরুদ্ধে কোনো বলপ্রয়োগ করা না হয়।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন মানিক, সুবীরেশ, কল্যাণময়রাও। আন্দোলন বিক্ষোভের জেরে জেরবার রাজ্য সরকার। এসএসসি থেকে প্রাথমিক, সাম্প্রতিককালে হবু শিক্ষকদের বিক্ষোভ কম হয়নি। কিন্তু সেইসব আন্দোলন দানা বাঁধতে দেয়নি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।সেখানেই এবার ২০১৪ সালের ‘নট ইনক্লুডেড’ টেট উত্তীর্ণদের ধরনা বিক্ষোভ। সোমবারও শুরুতে ধরপাকড় শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু বেলা ১টা নাগাদ যখন শ’য়ে শ’য়ে চাকরিপ্রার্থী রাস্তা দখল করে নিতে শুরু করলেন তখন কোনওরকম বল প্রয়োগের পথে হাতেনি পুলিশ। বরং অনেক বেশি সংযমী তারা। বরং পদস্থ আধিকারিককে সোমবার মাইকিং করে বাকি পুলিশ কর্মীদের বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না।’
এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে এপিসি ভবনের সামনে চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। গান, স্লোগান আর মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে এক সময় চাকরি প্রার্থীরা ঘোষণা করে দেন দাবি না মেটা পর্যন্ত অবস্থান চলবে। যদিও পাশে হাসপাতাল থাকায় ধরনা তুলে নিতে রাতে মাইকিং করে পুলিশ। তবে তাতে কাজ হয়নি।
এর পরেও রাজ্য সরকারের কোনো লজ্জা নেই।দু’কান কাটা নাহলে এমন হয় না।এরপরেও যখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’কারোর চাকরি যেতে দেবো না,তখন বোঝা যায় মূল সমস্যার শিকড় কত গভীরে।’