উদ্বোধন করা হলো ফাটা কেষ্ট(কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত)র ঐতিহাসিক কালী পুজো
নিউজ ডেস্ক::কোলকাতার নাম করা কালিপুজোর মধ্যে অন্যতম উত্তর কোলকাতার নব যুবক সঙ্ঘের পুজো – যা ফাটা কেষ্টর পুজো নামেই পরিচিত।
সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের লেঃ জেনারেল রাণাপ্রতাপ কালিটার উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে শুরু হল ফাটাকেষ্টর কালীপুজো।
সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের শীর্ষ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কালিটার উপস্থিতির মধ্যে দিয়ে শুরু এবারের হল ফাটাকেষ্টর কালীপুজো।
সাবেক রীতি রেওয়াজ মেনে ভক্তি শ্রদ্ধা সহযোগে ধন ত্রয়োদশী-র পবিত্র তিথিতে জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হল উত্তর কোলকাতার বহুচর্চিত ‘ফাটাকেষ্ট-র কালীপুজো’-র মণ্ডপ।
নব যুবক সংঘ আয়োজিত ‘ফাটাকেষ্ট-র কালীপুজো’ এই বছর ৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল।
প্রবন্ধ রায় ওরফে ফ্যান্টার নেতৃত্বে কোলকাতার ‘সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট’-এ সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে ফাটাকেষ্ট নামাঙ্কিত এই কালীপুজো।
লেঃ জেনারেল রাণাপ্রতাপ কালিটা-র সাথে আজ উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস-এর বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক মুকুল রায়, বিধায়ক তাপস রায়, অন্যতম নেতা সঞ্জয় বক্সি সহ এলাকার তিন পৌরপ্রতিনিধি সুপর্ণা দত্ত , সাধনা বসু ও স্বপন সমাদ্দার সহ একাধিক বরেণ্য অতিথিবৃন্দ।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, ১৯৯২ সালে হৃদরোগে ফাটাকেষ্টর মৃত্যু হওয়ার পর বর্তমানে এই পুজোর গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রবন্ধ রায় ওরফে ফ্যান্টা।
উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে একদিকে যখন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের বিভিন্ন রূপের বিবরণ শুনিয়েছেন, ঠিক তখন বিধায়ক তাপস রায় অপর বিধায়ক মুকুল রায়-কে সাক্ষী মেনে মায়ের কাছে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন করার অনুরোধ রেখেছেন।
শোনা যায় নকশার আমলে এই কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত এলাকার রবিনহুড হয়ে উঠেছিলেন।পরবর্তী কালে কৃষ্ণ থেকে কেষ্ট হয়ে তাঁর নাম ‘ফাটাকেষ্ট’ তে রূপান্তরিত হয়েছিল।