রঘুডাকাতের মন্দির – বাস্তব ও কিংবদন্তীর মিশ্রণ
নিউজ ডেস্ক::বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে অনেক কালী মন্দির।এমন কিছু কালী মন্দির আছে যার বয়স অন্তত ৫০০ বছর।সেইসব কালী মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত আছে অজস্র কিংবদন্তী।এই সমস্ত কিংবদন্তী কোনো না কোনো বাস্তব ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
এমনি একটি কালীমন্দির আছে হুগলি জেলার বাসুদেবপুরে। কিংবদন্তী অনুযায়ী বিখ্যাত রঘু ডাকাতের ভাই বুধো ডাকাত এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করে।যদিও এটি রঘু ডাকাতের মন্দির নামেই পরিচিত।
কথিত আছে বাগহাটির বাসিন্দা দুই ভাই বুধো ঘোষ ও রঘু ঘোষ দিনের বেলায় সাধারণ দিন মজুরের কাজ করতো।কিন্তু এলাকার মানুষদের অভাব দেখে ওই দুই ভাই রাতে ধনীগৃহে ডাকাতি করে ওই গরিব মানুষদের অন্নের ব্যবস্থা করতো।ফলে গ্রামের মানুষদের নয়নের মনি ছিল ওই দুই ভাই।ওই দুই ভাই রাতে রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে তাকে ধরে দেবীর কাছে নর বলি দিত বলে শোনা যায়।কথিত আছে একবার রাতে সাধক রমপ্রসাদ ওই রাস্তা দিয়ে যাবার সময় ওরা রামপ্রসাদকে ধরে যখন বলি দিতে যাবে তখন দেবী স্বয়ং ওদের দেখা দিয়ে নরবলি দিতে নিষেধ করে আর রামপ্রসাদকে ভক্তিভরে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে বলে।
ওই দুই ভাই পরের দিন ভক্তিভরে রামপ্রসাদকে সেবা করে তাঁকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।আর সেই থেকেই নরবলি প্রথা তুলে পাঁঠা বলি দেওয়ার রীতি শুরু হয়।
সেই মন্দির এখনো রঘু ডাকাতের মন্দির নামে খ্যাত।এলাকার মানুষ কার্তীকি অমাবস্যায় খুব ভক্তিভরে এখনো ওই মন্দিরে কালীপুজো করে।