প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদকে হুঁশিয়ারি অভিজিৎ গাঙ্গুলির
নিউজ ডেস্ক::টেট সমস্যা মেটানোর যত চেষ্টা হচ্ছে, ততই আরও জটিল হয়ে উঠছে এই নিয়োগ।ইতিমধ্যে একাধিক পরীক্ষার্থী একাধিক বিষয় নিয়ে আদালতে গেছে।কিন্তু সমস্যা মিটছে না।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হিয়ারিং ছিল জাস্টিস গাঙ্গুলির এজলাসে।তাঁর অভিযোগ,প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইন না মেনে কাজ করছে।তিনি বলেন,পর্ষদ বন্ধুর মতো আচরণ করছে না। আমি আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। যেখানে বলেছি নিয়োগে বাধা দেব না। এখন যদি দেখি আইন মানা হচ্ছে না,তাহলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বাধা হবেন না বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বলে রাখা প্রয়োজন, নম্বর নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা হয়। বিশেষ করে যেখানে ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীরা ৮২ নম্বর পেয়েই উত্তীর্ন হচ্ছেন সেখানে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। আর এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়। শুধু তাই নয়, ওএমআর সিটের নম্বর এবং তালিকাতে দেওয়া নম্বরও বদলে গিয়েছে। ২০১৭-র ৮২ নম্বর পাওয়া সংরক্ষিত প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করা হলেও ২০১৪-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তা হয়নি বলেও অভিযোগ।
আর এই অবস্থা দেখে রীতিমত হতাশ হন বিচারপতি। আর এরপরেই এহেন হুঁশিয়ারি।
তবে কলকাতা হাইকোর্টের এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরে আশঙ্কার একটা কালো মেঘ তৈরি হয়েছে পরীক্ষারথীদের মধ্যে। বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হবে। প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে।
এখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব আদালতকে সমস্ত নথি জমা দিয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করা।অন্যথায় আগামী ১১ ডিসেম্বরের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।