ভ্রমণ – তারাপীঠ
নিউজ ডেস্ক::নামে ‘তারাপীঠ’ কিন্তু এটা ৫১ পীঠের অন্তর্গত নয়।তারাপীঠকে ‘মহাপীঠ’ বলা হয়।তারাপীঠ নিয়ে নানা কিংবদন্তী আছে।সেইসব গল্পের সত্যাসত্য বিচার না করেও তারাপীঠ এখন বাংলার একটা অন্যতম ভ্রমণস্থল।দু’ধরনের মানুষের জন্য তারাপীঠ আদর্শ।যারা মন্দির মসজিতের মধ্যে দেবতার বাস বলে মনে করেন অর্থাৎ ধর্মপ্রাণ মানুষ আর যারা গতানুগতিকতার বাইরে কিছু দেখতে চান তারাও তারাপীঠের রস আস্বাদন করতে পারবেন।
সাধক বামাখ্যাপার সাধনার স্থল হিসাবে তারাপীঠের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।কিন্তু সাধক কমলাকান্ত,রাজা রামকৃষ্ণ,বিশে খ্যাপা,ন্যাংটা বাবা সাধনা করে তারাপীঠ সিদ্ধিলাভ করে – এমন কথা শোনা যায়।অদূরেই সাধক বামাখ্যাপর নিজস্ব কুটির আছে।সেখানে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা আছে।
দ্বারকা নদীর পারে এককালের চণ্ডীপুর এখন হয়েছে তারাপীঠ।তারাপীঠের মহাশ্মশান এখন নিজের ঐতিহ্য হারিয়ে একটা নোংরা আস্তাকুড় হয়ে উঠেছে।মন্দিরের সারা গায়ে আছে স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।তবে পাণ্ডাদের অতিরিক্ত লোভ ও ঔদ্ধত্য তারাপীঠের মহাত্মাকে অনেকাংশে নষ্ট করেছে।কিন্তু ধর্মপ্রাণ মানুষ ওর মধ্যেই খুঁজে পান নিজের দেবতাকে।তারাপীঠকে কেন্দ্র করে ঘুরে নেওয়া যায় একচক্রাগ্রাম।কথিত আছে এখানে পঞ্চপান্ডব অজ্ঞাতবাসে কিছুদিন ছিলেন।এমনকি ভীম হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন এই গ্রামেই।তারপর আছে বীরচন্দ্রপুর।মহাপ্রভু নিত্যানন্দের জন্মস্থান।পাশেই ডাবুক গ্রাম শৈবদের বিশেষ তীর্থধাম।
এ ছাড়া ৫১ পিঠের ৫ টি পীঠ স্থাপিত বীরভূম জেলায়।একটা গাড়ি ভাড়া করে কয়েকটা পীঠ ঘুরে নিতেই পারেন।
যাওয়া ও আসা – হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে অজস্র ট্রেন রামপুরহাট যায়।রামপুরহাট থেকে বাস,ভাড়া গাড়ি,অটো করে পৌঁছে যান তারাপীঠ।আবার ওই পথেই ফিরে আসবেন।
থাকা – তারাপীঠের ধারে কাছে অজস্র হোটেল লজ আছে।যেকোনো একটা হোটেল on line booking করে চলুন কয়েকদিনের জন্য ধর্মস্থান তারাপীঠ ঘুরে আসি।