ইসিএলের টানেল থেকে অবৈধ কয়লা উত্তোলন
নিউজ ডেস্ক: ইসিএলের বন্ধ ওসিপিতে টানেল তৈরি করে অবৈধভাবে কয়লা খনন করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে কয়লা সরবরাহ করা হয় কাজড়া মোড় ডিপোতে – এমন অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
রানীগঞ্জ বিধানসভার ধান্দাডিহ গ্রাম এলাকায় বছরের পর বছর বন্ধ থাকা ওসিপিতে টানেল তৈরি করে রাতের আঁধারে অবৈধ কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু এসব কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ কয়লা চোরাচালানের সাথে জড়িতদের আটক করে সিবিআই কর্তৃক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কয়লা মাফিয়ারা নির্ভয়ে অবৈধ কয়লা পাচার করছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই অবৈধ কয়লা পাচারের কোন তথ্য নেই। কোথাও কোথাও প্রশাসনও আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এমনকি ধান্দাডিহ গ্রামেও কয়লা মাফিয়ারা প্রকাশ্যে কয়লা পাচার করছে। ওই এলাকায় এমনভাবে টানেল তৈরি করা হয়েছে যাতে ওই সুড়ঙ্গে পড়ে কেউ মারা যেতে পারে।স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, আমাদের কাছে ইসিএল কর্মকর্তারা আসেন। টানেলটি বন্ধ করার জন্য বহুবার বলা হলেও ইসিএলের কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না।ইসিএল ঘটনাস্থলে দু-একজন নিরাপত্তারক্ষী পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ভান করে। এখন পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয়নি।স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান , রাতের বেলা এখান থেকে ছোট ছোট যানবাহনের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন করে কাজোরা মোড ডিপোতে সরবরাহ করা হয়। শুধু তাই নয়, এই টানেলটি রাস্তার পাশেই তৈরি করা হয়েছে। যা খুবই বিপজ্জনক প্রমাণিত হয়। যে কোনো সময় ওই এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলে আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ।
এত কিছুর পরেও প্রশাসন সেদিকে না তাকিয়ে কয়লা মাফিয়ারা নির্ভয়ে প্রকাশ্যে কয়লা পাচার করে।
অনেকটা অরাজক পরিস্থিতি।আসলে এর থেকে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের কোটি কোটি টাকা রোজগার।সেই টাকার একটা অংশ ভোটের সময় ব্যবহার করা হয়।তাই প্রশাসন জেগে ঘুমাতে বাধ্য হয়।