ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ‘ভারত জড়ো’ আন্দোলনে হামলা
নিউজ ডেস্ক::ত্রিপুরার অশান্তি কমছেই না।বিজেপি ছাড়া অন্যান্য দলের উপর লাগাতার হামলা চলেছে।সম্প্রতি ত্রিপুরায় কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।ফলে কংগ্রেসও বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি নিচ্ছে।তেমনি এক কর্মসূচি ছিল 'ভারত জড়ো,ত্রিপুরা বাঁচাও'।
স্থানীয় সূত্রের খবর,
ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে
কংগ্রেসের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপর হামলা হয়। আহত চারজন কংগ্রেস কর্মী। ঘটনার প্রতিবাদে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা রাজনগর পি. আর. বাড়ি থানাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন কংগ্রেস দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের । কংগ্রেস দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের অভিযোগ, “ভারত জড়ো” পদযাত্রা কর্মসুচিতে যাওয়ার পথে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের চোত্তাখলা বাজারে প্রকাশ্যে কংগ্রেস কর্মীদের উপর এই হামলা সংগঠিত করে বলে অভিযোগ।অভিযোগ উঠেছে শাসক বিজেপি দলের আশ্রিত দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে । কংগ্রেস দলের নেতা,কর্মী, সমর্থকরা জানায়, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে “ভারত জড়ো” পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করা হয় গৌরাঙ্গ বাজার থেকে । “ভারত জড়ো” পদযাত্রা কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য কংগ্রেস দলের নেতা-কর্মীরা গাড়ি করে গৌরাঙ্গ বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় চোত্তাখলা বাজারের সামনে আসতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে হঠাৎ আক্রমন শুরু করে শাসক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।এই হামলায় চারজন কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছে ।
পুলিশের সদর্থক ভূমিকা না থাকার কারণে এই হামলা সংগঠিত হয় বলেই এমনই অভিযোগ উঠেছে । পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখিয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা রাজনগর পি. আর. বাড়ি থানা ঘেরাও করে। কিছুসময় ধরে চলে কংগ্রেসের নেতা,কর্মী সমর্থকদের রাজনগর পি.আর. বাড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন। বিক্ষোভ দেখানোর পর কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল রাজনগর পি. আর বাড়ি থানার ওসির সাথে এক সাক্ষাৎ করেন। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা শাসক দলের দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পত্র তুলে ধরে থানার ওসির হাতে।
জানা যায় ,কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে মামন মিয়া নামে এক কংগ্রেস কর্মী লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করে। পুলিশ কি পারবে হামলার ঘটনার সাথে যুক্তদের আটক করতে? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে।
এবার ত্রিপুরায় আরো বেশি রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।