কোলকাতায় এলেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

0 0
Read Time:4 Minute, 28 Second

নিউজ ডেস্ক::প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সাথে রাজ্য মন্ত্রিসভার বিতর্ক এখন ইতিহাস।এরমধ্যে অস্থায়ী একজন রাজ্যপাল নিয়োগ হয়েছে।আজ কোলকাতায় এলেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিভি আনন্দ বোসকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হল। যে দিন থেকে তিনি দায়িত্ব নেবেন সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে এই নির্দেশ।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল বর্তমানে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি।স্বাভাবিক কারণেই নতুন রাজ্যপালকে নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে উৎকণ্ঠা ছিল।অবশেষে একজন অত্যন্ত পন্ডিত ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিভি আনন্দ বোস এলেন কোলকাতায়।নতুন রাজ্যপাল জানান,’বাংলার মতো রাজ্যের রাজ্যপাল হওয়া অত্যন্ত গর্বের। প্রধানমন্ত্রী ভরসা রাখায় তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। সংবিধানের মর্যাদা রক্ষার চেষ্টাও করব।
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি রাজভবনে এসে পৌঁছন। তাঁর জন্য গার্ড অফ অনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বুধবার তাঁর শপথগ্রহণ। প্রথা মেনে নতুন রাজ্যপালকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।
কয়েক দিন আগে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেরল ব্যাচের প্রাক্তন আইএএস অফিসার সি ভি আনন্দ বোসকে স্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে তাঁর নিয়োগের চিঠি প্রকাশিত করা হয়েছিল। নোটিসের ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় দায়িত্ব নিতে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন আনন্দ।


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় শপথগ্রহণ নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, তাঁকে ২১ এবং ২৩ নভেম্বর এই দুই দিনের প্রস্তাব দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। এরপর শপথগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত হয় ২৩ নভেম্বরের দিনটিই। শপথগ্রহণের পর ফের দিল্লিতে যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎকার করবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
উল্লেখ্য, পদবি বসু হলেও তিনি বাঙালি নন। কেরালার কোয়াট্টাম অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রাক্তন এই IAS একজন লেখকও। ভারত সরকারের সচিব, মুখ্য উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এমন পন্ডিত ও কর্মদক্ষতা সম্পন্ন মানুষ যদি পশ্চিমবঙ্গে নতুন কোনো দিশা দেখাতে পারে তা হবে বাংলার পক্ষে খুব মঙ্গলদায়ক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!