ভ্রমণ – পবিত্রভূমি আদ্যাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর ও বেলুরমঠ
নিউজ ডেস্ক : আদ্যাপীঠ দক্ষিণেশ্বর ও বেলুরমঠ ভ্রমণ একদিনের জন্য।
কোলকাতার উপকন্ঠে এই তিন পবিত্রভূমি ধর্মপ্রাণ বাঙালির বড়ো প্রিয় জায়গা।
আদ্যাপীঠ – স্বপ্ন দেখে ঋষিকেশ থেকে আদ্যাপীঠ আসলেন অন্নদা ঠাকুর।১০ কাঠা জমি কিনে ৩৫ বছর ধরে তৈরি করলেন সুবিশাল মন্দির।সে যুগে খরচ হয়েছিল ১০ লক্ষ টাকা।এই মন্দিরের স্থাপত্যকলা অসাধারণ। তেমনি অসাধারণ প্রতিমা স্থাপনে।দেবীপ্রতিমা তিনটি ধাপে সজ্জিত।প্রথম ধাপে উপবিষ্ট স্বয়ং রামকৃষ্ণ।দ্বিতীয় ধাপে ইডেন গার্ডেনের ঝিল থেকে পাওয়া অষ্টধাতুর শিবের বুকে দাঁড়ানো আদ্যামায়ের মূর্তি আর তৃতীয় ধাপে রাধা ও কৃষ্ণের আলিঙ্গনবদ্ধ যুগল মূর্তি।
আদ্যাপীঠে মধ্যাহ্নে প্রসাদ পাওয়া যায়।
দক্ষিণেশ্বর – কৈবর্ত কন্যা রানী রাসমনি প্রতিষ্ঠিত দেবী ভবতারিণীর মূর্তি।ভাগীরথীর পূর্ব প্রান্তে ৭২ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠে এই মন্দির।মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে নানা তর্ক বিতর্কের পরে পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ এই মন্দিরে পুজোর দায়িত্ব নেয়।
বেলুরমঠ – গঙ্গার দক্ষিণ দিককে বারাণসীর তুল্য পবিত্রভূমি বলা হয়।১৮৮৬ দলের মহাপ্রয়াণ ঘটে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেবের।তারপর ১৮৯৮ সালের ৯ ডিসেম্বর স্বামী বিবদকানন্দ কাঁধে করে গুরু রামকৃষ্ণের পুত অস্থি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন বেলুর মাঠের।১৯৩৮ সালের ১৪ জানুয়ারি এই মন্দির সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
একদিনে এই তিন পবিত্রভূমি ঘুরে নেওয়া যায়।আদ্যাপীঠ মন্দির ও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কাছে অনেক হোটেল,লজ ভাড়া পাওয়া যায়।সকালে আদ্যাপীঠ মন্দিরে এসে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চলে যান আদ্যাপীঠ মন্দিরে।প্রথমে মধ্যাহ্নের ভোগের টিকিট কেটে মন্দিরে পুজো দিন।তারপর ওখান থেকে হেঁটে বা রিকশা,আটো বা টোটো নিয়ে চলে যান দক্ষিণেশ্বরে।দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে টিফিন করে নিন।একটু ঘোরাঘুরি করে ফিরে আসুন আদ্যাপীঠে।হোটেলে স্নান করে বেলা দেড়টার মধ্যে মন্দিরের পিছনে গিয়ে ভোগ প্রসাদ নিন।
এরপর ঘরে একটু বিশ্ৰাম নিয়ে আবার দক্ষিণেশ্বর গিয়ে নৌকো করে গঙ্গার ওপারে চলে যান বেলুর মাঠে।পুজো দিয়ে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা আরতি দেখে আবার ফিরে আসুন আদ্যাপীঠে।আদ্যাপীঠে রাতের আরতি দেখে ঘরে ফিরে যান।
যদি সময় থাকে তাহলে আদ্যাপীঠে ঊষালগ্নের পূজা-পাঠ ও আরতি দেখে সকাল ৮/৯ টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।
এই পবিত্রভূমি আপনার মনে শান্তি এনে দেবে।আপনিও পবিত্র মনে বাড়ি ফিরতে পারবেন।