ইছামতির চর ফিরিয়ে দাও – দাবি গ্রামবাসীদের
নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের সংগ্রামপুর শিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সংগ্রামপুর পশ্চিম পাড়ার ঘটনা। কয়েক দশক ধরে ইছামতি নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ার ফলে জেগে উঠেছে নদীর চর। আর সেখানেই দাবি বসাচ্ছে গ্রামবাসী থেকে শুরু করে ইটভাটার মালিকপক্ষরা। প্রায় কুড়ি বছর এই চর দখল করে রেখেছে। স্থানীয় ভাটা মালিক পক্ষ রওশান ঢালী সহ ৫৮ জন ভাটার মালিক। তাদের দাবি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে সরকারিভাবে পাট্টা নিয়ে আমরা।
এখানকার ভাটাতে তৈরি ইট মজুদ করে রাখি। মাঝে মাঝে ফাঁকা করে দেই। কিন্তু পাল্টা গ্রামবাসীদের অভিযোগ এখানে ছোটবেলা থেকে এই নদীর চরে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে শিশুদের নানা বিনোদনের গন্তব্যস্থল এই নদীর চর।যাতে শৈশব না হারায় তার জন্য আমরা বাচ্চাদের খেলা সহ নদীর চরেই বিভিন্ন বিনোদনমূলক সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়া দক্ষিণপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো গ্রামবাসী এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত । রাজ্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর কাছে আমাদের আবেদন এই ইছামতি নদীর চরটি আমাদেরকে দেয়া হোক। গ্রামবাসী আব্দুল মতিন গাইন বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এই জমিটা মেপে জানিয়েছে এটা সরকারি খাস জমি। বিগত ২৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বেশ কিছু ভাটার মালিক দখল করে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। আমাদের সরকারের কাছে আবেদন বাচ্চাদের খেলার মাঠের জন্য দেওয়া হোক, যাতে শৈশব সুস্থ থাকে। আজ সকাল বেলায় এই দপ্তরের কয়েকজন আধিকারিক গেলে তাদেরকে ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান।
এই দপ্তরের সরকারি আমিন সুশান্ত দাস বলেন নদীর চর দখল করা যায় না। লিখিতভাবে আমাদেরকে দেয়া হোক গ্রামবাসীদের দাবি। আমরা উত্তর ২৪ পরগনা অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে পাঠিয়ে দেব। কখনোই নদীর চর দখল করা যায় না।এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ইছামতি দখল করে যেসব ভাটা বা হোটেল যা কিছু তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকার ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। সেগুলোকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা বসিরহাটকে ভালবাসি। এসব বেআইনি কাজ এখানে করা যাবে না।
এবার জমি মাফিয়াদের হাত থেকে পবিত্র ইছামতি চরা মুক্ত হবে আশা করা যায়।