পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টার্গেট ফিক্সড করে দিলেন মমতা

0 0
Read Time:4 Minute, 6 Second

নিউজ ডেস্ক::আর দেরি করলে হবে না, জরুরি ভিত্তিতে কর্মসূচি রূপায়ণ করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টার্গেট ফিক্সড করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালবিলম্ব না করে বিরাট কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন তিনি। দিলেন বড়দিনের মধ্যেই টার্গেট পূরণের নিদান। মোট কথা, পঞ্চায়েতের আগে মানুষের দাবি পূরণে তিনি বদ্ধপরিকর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বহু আবেদন-নিবেদনের পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বরাদ্দ করা ৮২০০ কোটি টাকা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবা যোজনা প্রকল্পে রাজ্য দেবে আরও ৫ হাজার কোটি। ফলে বাড়ি নির্মাণ কল্পে এই টাকা যত শীঘ্র সম্ভব কাজে লাগিয়ে মানুষরে মন জয় করতে চাইছে তৃণমূল সরকার।

সেই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বড়দিনের মধ্যেই ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ির অনুমোদন দিতে হবে। গ্রামে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে এই টাকা বরাদ্দের পর আর কালবিলম্ব না করে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। নয়া দিল্লি যখন এত দিন পর টাকা ছেড়েছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে লাগিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চায় তৃণমূল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা হাতে পেয়েই গ্রাম বাংলার মানুষকে এই খুশির খবর দিয়েছে। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিতে হবে। কারা বাড়ি বাড়ি বাবাদ টাকা পাবেন, তাঁদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। সেই চিঠি দেওয়ার পরই প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই জেলাশাসকদের এই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সচিবের তরফে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন টার্গেট পেল না করেন। বড়দিনের মধ্যে টার্গেট পূরণ করতে হবে। কিস্তির টাকা ছাড়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে কাজের অগ্রগতি পোর্টালে আপডেট করতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা এই আবাস যোজনার প্রকল্পের উপভোক্তা, তাঁরা যেন কিস্তার টাকা পেয়েই ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে বাড়ি তৈরি করে ফেলেন। এক বছরের মধ্যে বাংলার গ্রামগুলিতে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৯৯টি নতুন বাড়ি দেখতে চায় রাজ্য।

গ্রামে বাড়ি তৈরির জন্য কারা টাকা পাবে, তা নির্বাচনের ব্যাপারে দেশজুড়ে অভিন্ন নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই উপভোক্তা বাছাই করতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু অধ্যুছিত এলাকায় গুরুত্ব দেওয়ার কথাও নীতিতে বলা হয়েছে। সেই বিধি মেনেই বাংলা চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!