মানিকচকে বিতর্কিত মন্তব্য সাবিত্রী মিত্রের, বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনছে বিজেপি
নিউজ ডেস্ক::মানিকচকের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। মোদী এবং অমিত শাহকে দুর্যোধন এবং দুঃশাসন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তারই প্রতিবাদে আজ বিধানসভায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামীকাল তিনি এই নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি বিধায়করা সম্মিলিত ভাবে এই নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
মানিকচকের সভায় গতকাল বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দুর্যোধন এবং দুঃশাসন বলে কটাক্ষ করেছেন। মালদহের রতুয়ায় সভা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শূর্পনখা বললে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুর্যোধন, দুঃশাসন বলব’।
এদিনের সভায় তিনি আরও বলেছেন, ‘গুজরাতিদের বিশ্বাস করবেন না। তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ব্রিটিশদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল।’ সোমবার এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন প্রাদেশিকতা তৈরি করছেন তৃণমূল বিধায়ক। গুজরাত যেখানে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সেখানে গুজরাতকে অপমান করেছেন তৃণমূল বিধায়ক এমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সাবিত্রী মিত্রের বিরুদ্ধে আগামীকাল বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক মহিলা বিজেপি বিধায়ক বিধানসভায় এই নিয়ে প্রতিবাদ জানাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সোমবারেও কিন্তু উত্তাল ছিল বিধানসভা। অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। স্পিকার তা খারিজ করে দেন। তারপরেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। বিক্ষোভ েদখান বিজেপি বিধায়করা।
সোমবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল। তাঁরা অভিযোগ করেিছলেন যাতে যাঁদের মদতে এই দুর্নীতি তাঁদের সকলকে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে তৈরি ৪০ জনের মন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও।