কাঁথি লোকসভায় ২ লাখ ভোটে জিতবে বিজেপি – হুঙ্কার শুভেন্দুর
নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গের দুটি সিট – একটি নন্দীগ্রাম বিধানসভা ও অপরটি কাঁথি লোকসভা – তৃণমূল ও বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট।সূত্রের খবর,
ডিসেম্বরের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করবেন কাঁথিতে। শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হবে অভিষেকের সভা। আর তার আগেই শুভেন্দুর কাঁথি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এই হুঁশিয়ারি স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুধু দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করাই নয়, এর পাশাপাশি কাঁথিতে অভিষেকের সভার আগে রাজ্যের শাসক শিবিরকে স্নায়ুর চাপে রাখার একটি কৌশলী চাল বলেও মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।
কারণ, পঞ্চায়েতের মুখে এখনও পর্যন্ত অভিষেককে সেই অর্থে বড় কোনও জনসভায় দেখা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, অধিকারী-গড় কাঁথি থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচারে ময়দানে নামতে চলেছেন তিনি। অভিষেকের সেই সভার আগে শান্তিকুঞ্জের হেভিওয়েট নেতার এই হুঁশিয়ারি এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ করছে।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরপরই তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তবে শান্তিকুঞ্জের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও খাতায় কলমে তৃণমূল শিবিরে। যদিও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ নামমাত্রই রয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথিতে কার্যত দাপট দেখিয়েছে বিজেপি শিবির।দক্ষিণ কাঁথি ও উত্তর কাঁথি উভয়ই নিজেদের দখলে নেয় পদ্ম শিবির।
দক্ষিণ কাঁথি থেকে বিধায়ক হন বিজেপির অরূপ দাস এবং উত্তর কাঁথিতে রয়েছেন পদ্ম-নেত্রী সুমিতা সিনহা। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “কাঁথি লোকসভাতে ৪৫ হাজার লিড বিজেপিতে আছে। এই জন্যই তো আমরা নরেন্দ্র মোদীকে কাঁথি লোকসভা আবার উপহার দেব ২ লাখ ভোটে। লিখে রাখুন।” যদিও বিধানসভা ভোটের পর পুরভোটের ক্ষেত্রে কাঁথিতে সেই তুলনায় দাপট দেখাতে পারেনি পদ্ম শিবির।
এখন অপেক্ষা করতে হবে,কাঁথি তুমি কার? তৃণমূল না বিজেপির।