ছাত্র-শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিবাদন, মুগ্ধ মমতা। চকলেট কেক ফুল মিষ্টি পাঠালেন কচিকাঁচাদের জন্য
0
0
নিউজ ডেস্ক::উত্তর 24 পরগনার সুন্দরবনের তিন দিন সফর ছেড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টাকি এরিয়ান ক্লাবের মাঠ থেকে হেলিকপ্টার উঠে হাওড়া ডুমুর জেলায় গেলেন। হেলিপাডে যাওয়ার আগের মুহূর্ত টাকি পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের টাকি ভবনাথ বয়েজ স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক শিক্ষিকারা রাস্তার দু’ধারে শৃঙ্খলা বদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেকের হাতে ফুল ও মুখে জয়ের ধনী, একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে কথা বলবেন এবং মতবিনিময় করবেন।কিন্তু বাদ ছাড়লো স্কুলে পরীক্ষা ছিল তাই রাস্তায় গাড়ির মধ্যে থেকে শুভেচ্ছা ফুল দিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রদের কাছ থেকে। আর তার বদলে পেলেন বড়দিনের উপহার। প্রায় ইস্কুলের ৪০০ ছাত্র ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য প্রতিটা ছাত্রর জন্য চকলেট কেক ফুল মিষ্টি উপহার পাঠালেন।
তার নির্দেশ বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর জবি থমাসকে কাছে নির্দেশ পাওয়া মাত্রই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জি টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী কাউন্সিলর সহ বিশিষ্টজনেরা আজ নির্ধারিত স্কুল টাইমে স্কুলগেটে ঢোকার মুখে প্রায় ৪০০ ছাত্রদের হাতে মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া উপহার তুলে দিলেন রীতিমতো খুশি ছাত্ররা। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো উপহার পেয়ে খুশি রীতিমতো ছাত্র অভিভাবকরা, ছাত্ররা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে যেতে দেখেছি কিন্তু পরীক্ষা থাকার জন্য উনি ঢুকতে পারলেন না উপহার পাঠিয়েছেন আমরা গর্বিত সেইসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকারা টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী বলেন, স্কুলে পরীক্ষা ছিল তাই প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নামতে পারিনি ছাত্রদের এই আবেগ দেখে তিনি নিজে ঠিক থাকতে পারেনি।
তাই উপহার পাঠিয়ে দিয়েছেন তাই আজকে আমরা দিতে এসেছি ছাত্ররা রীতি মতো খুশি ।পাশাপাশি বলেন টাকি পর্যটন কেন্দ্রের একটি বই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছি। আগামী দিনে আরো বেশি করে টাকি পর্যটন কেন্দ্র যাতে উন্নয়ন হয় তার জন্য উনার কাছে আবেদন জানিয়েছি। ইতিমধ্যে সুন্দরবন উন্নয়নের কয়েকশো কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়েছে তার মধ্যে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শামসের নগর হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই সুন্দরবন সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
