মোখার তাণ্ডব রুখতে তৈরি প্রশাসন
নিউজ ডেস্ক::ধেয়ে আসছে সাইক্লোন মোখা। প্রবল গতিতে এই সাইক্লোন আঘাত হানবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘন্টায় ১৫০-১৬০ কিমি বেগে এই ঘুর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ কিমি থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে কক্সবাজার এবং মায়ানমারের সিটুই-এ ল্যান্ডফল করবে বলে ইতিমধ্যে অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলা উপকূলে কিছুটা হলেও এর প্রভাব পড়তে পারে। আর সেই ভয় থেকেই আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে মানুষকে আতঙ্কে না থাকার বার্তা দিয়েছেন। প্রশাসন প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরেই উপকূলবর্তী এলাকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সন্দেশখালি-১, সন্দেশখালি-২, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ-সহ সুন্দরবন লাগোয়া প্রতিটি ব্লকে।
প্রত্যেল কন্ট্রোল রুমে সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ইতিমধ্যে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এলাকার সমস্ত স্কুলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মূলত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যায় সেখানে সেজন্যেই এহেন পদক্ষেপ। অন্যদিকে ত্রাণ শিবিরের পাশাপাশি মোট ৫৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো উপকূল এলাকাতে সচল করা হয়েছ।
পাশাপাশি মানুষকে সাবধান করে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তবে বাঁধগুলিকে নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যে এই বাঁধগুলিকে নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। বাঁধগুলিকে নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথাও বলা হয়েছে সেই বৈঠকে।
আর এরপরেই প্রশাসনের তরফে বাঁধগুলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কার্যত দিন-রাত স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলি বাঁধের উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে বাংলাতে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের টিমকে। মোট আট কোম্পানি এনডিআফ মোতায়েন করা হয়েছে।
মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপকূল জায়গাতে এই টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে। দীঘাতে এনডিআরএফের তরফে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষেপও নিতে শুরু করেছে। অন্যদিকে নবান্নেও ঝড় নিয়ে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঝড় নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার তরফেও আগাম সতর্ক হিসাবে বৈঠক করা হয়েছে। যেখানে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও কলকাতাতে ঝড়ের তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি আবহাওয়াবিদদের।