ফিরহাদ হাকিমের সাংবাদিক সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক::কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন,
শহরে আর লাইসেন্স দেওয়া হবে না হুকাহ বার কে। তাদের নতুন করে কোনো অনুমতি দেওয়া হবে না। সমাজের পক্ষে ক্ষতি হচ্ছে। মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই পুলিসের সাহায্য নিয়ে হুকাহ বার বন্ধ করা হবে। সিগারেট নিয়ে ও মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু হুকাহ সমাজের পক্ষে খুবই খারাপ। অনেক অভিযোগ আছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে হুকাহ বার বন্ধ করা হবে। এছাড়া ছোট ছোট দোকান হুকাহ বিক্রি হচ্ছে। সেটা প্রশাসন কে জানানো হবে বলে জানান মেয়র।
আমরা এখন অনুরোধ করছি যে সব জায়গায় হুকাহ বন্ধ করুন। অনেক জায়গায় মাদক সেবন করা হচ্ছে। এই অভিযোগ ও আছি। আমরা সমস্ত লাইসেন্স ক্যান্সেল করে দিতে বলেছি। পুলিশ কে বলব যে এটা দেখার জন্য।
মহেশতলার ঘটনায় তিনি বলেন যে যা হয়েছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ।
টালা ট্যাংকে আমরা গিয়েছিলাম। 3 টে ট্যাংক হয়ে গেছে আর শেষ ট্যাংকের কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এটা সম্পূর্ন হলে উত্তর কলকাতার জলের সমস্যা আরো বেশি কমে যাবে । জলের পরিষেবা আরো বৃদ্ধি পাবে। একই ভাবে কসবা অঞ্চলের জলের পরিষেবা বাড়ানো হবে বলে জানান মেয়র।
এবার থেকে কুকুর দের রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হবে। রেজিস্ট্রেশনের মধ্যে দিয়ে তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তার জন্য দুটো করে ডকুমেন্ট লাগবে। আর একটা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট লাগবে।
তিনি আরো বলেন এখন
ডেঙ্গু পরিস্তিতি আগের থেকে অনেক কম হয়েছে।
তিনি সিপিএম বিজেপি প্রসঙ্গে বলেন,
সি পি এম এর সঙ্গে জোট হয়েছিল, দেখা গেল সিপিএম শেষ হয়ে গেছে। আর বিজেপি সঙ্গে জোট করলে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। আমি আশঙ্কা প্রকাশ করছি তৃণমূল 294 টি আসন না পেয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন,
তুমি কি তদন্ত এজেন্সি!মুখ দেখানোর রাজনীতি হচ্ছে। টিভি তে মুখ দেখলে দিল্লি বিজেপি দেখবে যে আমি জীবিত আছি।
রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
রাজ্যপাল শ্রদ্ধার মানুষ। তার পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন। তার সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করব। রাজ্যপালের গরিমা তিনি রাখবেন এবং এই গরিমা থাকবে।
পরেশ রাওয়াল নিয়ে তিনি বলেন বাঙালি মাছ খায়। তাতে তোমার এত মাথা ব্যাথা কেনো। তুমি যে গান গাও জন গণ মন সেটা বাঙালির লেখা। বন্দেমাতরম যিনি লিখেছিলেন তিনি বাঙালি ছিলেন। যারা নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন তিনি বাঙালি ছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যার নাম নিয়ে আমরা স্যালুট করি । মাছ খাওয়া বাঙালি কে নিয়ে ঘেন্না করো না। কে একটা পরেশ রাওয়াল নাম শুনিনি।
দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরোধী দের অভিযোগ নিয়ে তিনি বললেন,
মানুষ কে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা পরিষেবা দেন। তাহলে অসুবিধা কোথায়। তোমরা খোলো না একটা উজ্বলা সেন্টার।