মিটিংয়ের প্রতিযোগিতা – অভিষেক বনাম শুভেন্দু
নিউজ ডেস্ক::ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরেই অভিষেকের সভার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।এবার শুভেন্দুর ডায়মন্ড হারবারের সভার অনুমতি দিল পুলিশ।দুটি সভায় শনিবার বিকেলে।
শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশের আপত্তি থাকলেও অনুমতি দিলো আদালত।শুক্রবারই এই সভা সংক্রান্ত মামলায় অনুমতি দিল আদালত। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস মাঠে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারই এই সভা সংক্রান্ত মামলায় অনুমতি দিল আদালত। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস মাঠে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু।
আদালতের নির্দেশ, শব্দবিধি মেনে করতে হবে সভা। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পুলিশ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সেই সভার অনুমতি দিয়েছে। প্রথমে সভার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হল। ফলে, শুভেন্দুর সভা সংক্রান্ত আইনি জটিলত কেটে গেল। অভিষেকের পর এবার সভার অনুমতি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
একদিকে যখন শনিবার সকালে অধিকারী গড়ে তথা শান্তিকুঞ্জের অদূরে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে তখন অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সভায় থাকবেন শুভেন্দু। শুক্রবারই এই সভা সংক্রান্ত মামলায় অনুমতি দিল আদালত। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস মাঠে সভা করতে পারবে শুভেন্দু।
শনিবার দুই শিবিরের সেনাপতির সভা ঘিরে সরগরম হতে চলেছে রাজনীতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুভেন্দু, অভিষেক দুজনের বিপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানাবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের ওই মাঠ পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। লাগানো হচ্ছে ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন। জটিলতা কেটে যাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিজেপি কর্মী দীপক হালদার বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই সভা করা হচ্ছে।’ সরকার পক্ষ পরিকল্পনা করে সেই সভা পণ্ড করার চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ কাঁথির সভা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওদের হাতে এখন কোনও ইস্যু নেই, তাই নেতাদের বাড়ির কাছে গিয়ে সভা করে বিরক্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
এর আগে এই দুই নেতাই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিল।বাংলার নাগরিকমহল সেই ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণকে ভালো চোখে নেয় নি।এবার দেখার শনিবার কি হয়।