টুইটে ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নিউজ ডেস্ক::সিঙ্গুরের অনশন আন্দোলন শুরু করেছিলেন ৪ ডিসেম্বর থেকে। বাম শাসনের অবসানের সূচনা হয়েছিল এক কথায় এই দিন থেকেই। আজ সেই ৪ ডিসেম্বর। সেই দিনটির কথা স্মরণ করে অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো লিখেছেন, ‘আমার মধ্যে সেই লড়াই এখনও বেঁচে’, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যােয়র এই টুইট অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি একাধিক দু্র্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী। সিবিআই ইডি তৎপরতায় জেরবার রাজ্য সরকার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। তার উপরে আবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় বোমা-গুলি-অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধীরা সরব হয়েছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। জেলা জেলায় গুলি-বোমা সন্ত্রাসের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে প্রতিমুহূর্তে টার্গেট করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিকে কয়েকদিন আগে হিঙ্গলগঞ্জে প্রশাসনিক সভা করতে গিয়ে একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রকাশ্যে মঞ্চেই পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনকে রীতিমত ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন যে পুলিশ কিছু করলে দায় হয় সরকারের। প্রশাসনে কিছু করলে দায় হয় সরকারের। অথচ তিনি তার কিছুই জানেন না । কয়েকজনের জন্য সরকারকে কথা শুনতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ণ ছিল। এই মন্তব্যে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছে সরকার করে বলেই যাঁরা চিৎকার করেন বিরোধিতা করেন আদলে দোষ সরকারের নয় কয়েক জনের।
সম্প্রতি ডিসেম্বর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে একের পর এক বিজেপি নেতা দাবি করেছেন ডিসেম্বরে বড় চোর ধরা পড়বে। ডিসেম্বর থেকে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় একের পর এক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পোস্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সিঙ্গুরের কারখানার প্রতিবাদে ৪ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশনে বসার হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।
রবিবার সেই দিনটিকে স্মরণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ‘আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে সিঙ্গুরের কৃষক ও গোটা দেশের জন্য আমি আমার অনশনের লড়াই শুরু করেছিলাম। শক্তির কাছে যারা অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক কর্তব্য ছিল। লড়াইয়ের সেই আগুন এখনও আমার মধ্যে জ্বলছে। আমি কোনওদিন ভয় দেখিয়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।’