বেআইনিভাবে আরও ৪০ চাকরিপ্রাপকের হদিশ
নিউজ ডেস্ক::বিগত এক বছর ধরে শুধুমাত্র ব়্যাঙ্ক-জাম্পিংয়ের অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে আসতেই নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে এসেছিল। এদিন সিট প্রধান অশ্বিনী শেনভি জানান, নবম-দশমে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া আরও ৪০ জনের হদিশ মিলেছে।
শেনভি বলেন, সিবিআইয়ের তরফ থেকে আমরা সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে, তারা কীভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে। কারণ জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করতে হবে তাদেরই। উল্লেখ্য, এদিনই ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সেই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়, ১৮৩ জনের পর নবম-দশমে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া আরও ৪০ জনের হদিশ মিলেছে।
অভিযোগ, ওএমআর শিটে কারচুপি করে ওই ৪০ জনকে চাকরির সুপারিশ করেছিল এসএসসি। এদিন ওএমআর শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়ে তাদের রিপোর্টে তা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সব মিলিয়ে নবম-দশমে ২২৩ জন বেআইনিভাবে চাকরিপ্রাপকের হদিশ মিলল। আগে ১৮৩ জন, এদিন তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও ৪০ জন।
সম্প্রতি, নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে উঠে আসে ওএমআর শিটের প্রসঙ্গ। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, গাজিয়াবাদ এবং কমিশনের দফতরে বাজেয়াপ্ত করা হার্ডডিস্ক থেকে ওএমআর শিটের যে নমুনা উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করতে। সেইমতো সিবিআই রিপোর্ট পেশ করে এদিন।
ওএমআর শিট কারচুপিতে যে এই ৪০ জনকে চাকরি সুপারিশ করেছিল কমিশন সেই সত্যতা যাচাই করতে শুক্রবারই বৈঠক হয়। সেখানে সিবিআই নিশ্চিত হয়েছে ৪০ জনের নিয়োগের নেপথ্যে ছিল ওএমআর কারচুপি। এই ৪০ জনের মধ্যে বাংলার শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। ইতিহাসের শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন, জীবন বিজ্ঞানের ৩ জন, ইংরাজি শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন এবং ভৌতবিজ্ঞান ও ভূগোলের ১ জন করে।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বলেন, শিক্ষক বদলিতেও দুর্নীতি হচ্ছে। তাই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এদিন ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। তাঁর বদলির কারণ নিয়ে বিচারপতির মন্তব্যে উঠে আসে এই দুর্নীতির কথা। বদলিতে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান।
বিচারপতি বলেন, ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। এর ফলে বহু স্কুল উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন। ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন। এদিন আদালতে এই তথ্য জানান জেলা স্কুল পরিদর্শক।