৯ হাজার OMR Sheet-এ বিকৃতি, দাবি CBI-SIT প্রধানের!
নিউজ ডেস্ক::স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে বিস্ফোরক তথ্য নবনিযুক্ত সিবিআই-সিট প্রধান অশ্বিন শেনভির। গ্রুপ -ডির দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় তাঁকে এদিন উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেখানেই তিনি এই তথ্য দেন।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অশ্বিনী শেনভিকে বলেন, যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সবরকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি বসু। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। সিট প্রধানকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
নিযোগ দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিবিআই-সিট প্রধান অশ্বিনী শেনভি আদালতে বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে ৯ হাজার OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিবিআই সব নথি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছে। এখন তাদের ঠিক করতে হবে, তারা কী ভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে।
প্রসঙ্গত গত বছরের নভেম্বর থেকে শুধুমাত্র র্যাঙ্র-জাম্পিং-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর OMR Sheet-এর বিষয়টি সামনে এসে এবং তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। এদিন আদালতে সিটের প্রধান জানিয়েছেন, এসএসসির হার্ড ডিস্কই তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে যা উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তরফে আদালতে বলা হয়েছে, প্রথমে মেধা তালিকায় গোলমাল ভাবা হলেও, পরে দেখা গিয়েছে, দুর্নীতি অনেক গভীরে।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন। যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে তারা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন। তাঁরা জানতে চায় না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল। তাঁরা নিয়োগপত্র চান, মন্তব্য বিচারপতির। তিনি আরও বলেছেন, এই দুর্নীতির তদন্ত-বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে তদন্ত-বিচার তার লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসএসসির তরফে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরি করা ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে। তারপরে আরও ৪০ জন অযোগ্য শিক্ষকের খোঁজ পাওয়া যায়।