ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক::আবারো স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। রাস্তা নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর দৌলতে রাস্তা নির্মানে এই দুর্নীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। একাধিকবার টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টকে এ বিষয়ে অবগত করেও তিনি রাস্তা নির্মাণের ঘোটালা করে মোটা অংকের টাকা হাতানোর নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ করা যেতে পারে,ত্রিপুরা মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অন্তর্গত ৩৬ মাইল এলাকার আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক থেকে পূর্ব লক্ষ্মীপুর এডিসি ভিলেজ পর্যন্ত ১.৫ কিলোমিটারের একটি ইট সোলিং রাস্তা নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়।
আর এই রাস্তা নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় ত্রিপুরা মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রণব দেববর্মাকে। আর, তিনি এই দায়িত্ব পেয়ে রাস্তা নির্মাণের বড়োসড় দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা কামাই -এ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের। তার ওপর, রাস্তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইট বাসানো হয়নি। প্রতিটি ইটের মধ্যে প্রায় ১ থেকে ২ ইঞ্চির চেয়েও বেশি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। রাস্তা নির্মাণের পূর্বে মাটি কাটার কাজ রেগা শ্রমিকদের দিয়ে করানোর কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। এক কথায় বলা চলে সব মিলিয়ে বিশাল অংকের ঘোটলার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে এই রাস্তাটি।
এ বিষয়ে ত্রিপুরা মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা জানান, তিনি নিজেও গিয়ে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন যে রাস্তা নির্মানে এহেনু দুর্নীতি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব থাকা মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রণব দেববর্মাকে অবগত করেন। কিন্তু প্রণব দেববর্মা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকায়।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত জানা যায়, এই রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতি করে মোটা অংকের টাকা কামাই -এর একটা ছক তৈরি করেছেন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রণব দেববর্মা। এখন এটাই দেখার বিষয় এই সংবাদ প্রকাশের পর দপ্তর উনার বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।