রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA নিয়ে রাজ্য সরকার সদর্থক নয়
নিউজ ডেস্ক::কয়েক বছর ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য DA নিয়ে রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না বলেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা মনে করেন।
হাইকোর্ট,ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে এখন রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে।সোমবার ছিল ওই কেসের হিয়ারিং।সেই মামলায় আপাতত কোনও অন্তর্বতী আদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। আগামী ১৪ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। সব পক্ষকে নোটিস দিয়েছে আদালত। হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু রাজ্য সরকারের মতিগতি বিশেষ সুবিধার নয় বলেই কর্মী সংগঠন মনে করে।বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।
তিন মাস সময়ও দেওয়া হয়েছিল রাজ্যকে। সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের আইনজীবী মনু সিংভি।প্রসঙ্গত স্মরণীয় মনু সিংভির একদিনের ফিস কয়েক লক্ষ টাকা বলে সূত্রের খবর।
এই মামলায় সরকারি কর্মী সংগঠনের পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীনী বিকাশ ভট্টাচার্য।রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেন, বছরে দুবার ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়, তাহলে ৪২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্যের মাথায় বাড়তি বোঝা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত স্মরণীয় যে বহু বছর ধরে DA বকেয়া রক্ষার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া DA দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশ।হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য, তাই তিন মাসের মধ্যে তা মিটিয়ে দিতে হবে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বকেয়া টাকা না পাওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি।
তাদের স্পষ্ট অভিযোগ শুধু ভোট কেনার জন্য সরকার অনুদান আর ভিক্ষা দিয়েই চলেছে।অথচ যাদের দিয়ে সরকার কাজ করাচ্ছে,তাদের বঞ্চিত করে।এখন আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের অপেক্ষা করতে হবে।