নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে
নিউজ ডেস্ক, বাংলাদেশ: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সে দেশের তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের পর, ২০১২ সাল থেকে নির্মাণ কার্য শুরু হয় এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির। মূল কাঠামো তৈরীর কাজ করেছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড। চলতি মাসে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। স্বাভাবিকভাবে যা বাংলাদেশের জনগণকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে এ দেওয়া হচ্ছে। লোড টেস্টও সফলভাবে শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রেডে ৫৪০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসে একটি ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বাগেরহাটে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিট কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিটি দল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পর্যবেক্ষণে আসবেন, তাদের সবুজ সংকেতের পরই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের দিনক্ষণ স্থির করা হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগা ওয়ার্ড করে ১ হাজার ৩২০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। চলতি মাসের প্রথম ইউনিটটি তার উৎপাদন কাজ শুরু করে দেবার পর আগামী ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি যৌথ কম্পানি গঠন করে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।