তৃণমূলে পাহারাদার এখন অভিষেক!
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তৃণমূলে এবার পাহারাদার ভূমিকা নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, কাজ না করলে, মানুষের পাশে না থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে ব্লক সভাপতি সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদিয়ার রানাঘাট থেকে তিনি এদিন গর্জে ওঠেন দলের এক শ্রেণির নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ২০০৮ সালে পরিবর্তনের যাত্রা যেখানকার পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে কেন মানুষ সরে গেল? এই প্রশ্ন তিনি এদিনের সভা মঞ্চ থেকে তুলে দেন। অবশ্য জবাব দেন নিজেই।
তিনি বলেন, দলের কিছু নেতার কারণেই কোথাও কোথায় তৃণমূলের পাশ থেকে মানুষ সরে গিয়েছে। দলের টিকিট মানুষের ভোটে জিতেও মানুষের পাশে দাঁড়াননি। ফলে মানুষ তাঁদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সরে গিয়েছেন। যে সব পঞ্চায়েত প্রধান জনসংযোগ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে দু-বার ভাববে না দল।
এদিন মঞ্চ থেকেই তিনি তাতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান শেষ কবে এলাকায় গিয়েছিলেন? চার বছর গ্রামে যাননি পঞ্চায়েত প্রধান। মানুষের পাশে দাঁড়াননি। তাঁকে সোমবার সকালের মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, পঞ্চায়েত প্রধানরা ঠিকঠাক কাজ না করতে পারলে, শুধু পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মর্মে তিনি ব্লক সভাপতিকে সাবধান করে দেন। অভিষেক বলেন, প্রধান কে হবে তা মানুষ ঠিক করবে। আগামী নির্বাচনে হবে মানুষের পঞ্চায়েত।
এদিন রানাঘাটের মতুয়া গড়ে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ছোড়েন, জেলার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে কি আপনারা খুশি? জেনে রাখুন, আগামী পঞ্চায়েতে নির্বাচনে হবে মানুষের পঞ্চায়েতে। নিজের জন্য তৃণমূল করলে তাদের দলে কোনও জায়গা নেই। মানুষ নির্বাচিত করবে পঞ্চায়েত প্রধান। মানুষের পাশে না থাকলে প্রধান থাকবেন না।
অভিষেক এদিন বলেন, ঠিকাদারদের জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ। দলের সঙ্গে বেইমানি করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না কাউকেই। দলের ভুল ত্রুটি থাকলে শুধরে নিন। পঞ্চায়েত ভোট যেদিনই হোক, কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে আপনাদের। নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানুষের কাছে যান। মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে পাশে দাঁড়ান।
অভিষেক বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের ভুল ত্রুটি আছে। আমরা সেগুলো শুধরাচ্ছি। নিজের দলের প্রতি পরিশোধন বার্তা গিয়ে তিনি বলেন, ঠিকাদারই করলে তৃণমূলের দরজা বন্ধ। স্ত্রীয়ের নামে লাইসেন্স বের করবেন, ও সব চালাকি চলবে না। কাজ না করলে টিকিট পাওয়া যাবে না। কাজ করলে দল নিজে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁদে যোগ্য দেন জায়গা দেবে।