নদী ভরাট অভিযোগের তদন্তে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক::নদী ভরাট অভিযোগের তদন্তে পুলিশ। স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেউ জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরেই শান্তিপুর গোবিন্দপুর সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক সুরধ্বনি নদী ভরাটের অভিযোগ উঠে এসেছিল বেশ কয়েকবার। তদন্তে আসে ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিকরা, যদিও তাও নদী ভরাটের কাজ চলে। এরপরেও আবারও বিভিন্নভাবে অভিযোগ জমা পড়ায় এবার সরজমিনে তদন্তে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ।
জানা যায় সুরধ্বনি নদীর পাশেই রয়েছে একটি স্টিল আলমারি তৈরির কারখানা, ওই কারখানার মালিক মানিক দেবনাথ নদী ভরাট করার কাজ চালাচ্ছে। পরিবেশপ্রেমী দের দাবী রাষ্ট্রায়ত্ত্য সম্পত্তি ঐতিহাসিক নদী, যে নদী পথ দিয়ে শ্রী চৈতন্যদেব শান্তিপুরের অদ্বৈত আচার্যের কাছে এসেছিলেন সেই যদি কিভাবে ভরাট করতে পারে ওই ব্যবসায়ী, নদী কখনো ব্যক্তিগত মালিকানায় হয় না।
যদিও এ প্রসঙ্গে কারখানার মালিক কে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, জেলা পরিষদের নির্দেশ মতোই তিনি কাজ করছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদী ভরাট পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে করা বার্তা দিলেও এখনো অবাধে চলছে নদী ভরাটের কাজ, আর সেখানেই বেআইনিভাবে হচ্ছে নির্মাণ কার্য। আজ পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা জানিয়েছেন, আজ থেকে কুড়ি বাইশ বছর আগে এই সুরধ্বনি নদী দিয়ে জলস্রোত বয়ে যেত, পরবর্তীতে নদীর জল শুকিয়ে যায়, বর্ষাকালে নদীতে অল্প জল থাকে। এই সুরধ্বনি নদী শান্তিপুর বাগ আঁচড়া থেকে শুরু হয়ে শান্তিপুর ফুলিয়ার ভাগীরথী নদীতে গিয়ে মিলিত হয়। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে নদী ভরাটের কাজ বন্ধ হয়, নাকি আগামী দিনে নদী ভরাট হয়ে বেআইনি নির্মাণ কাজ হয়।