তৃণমূলে দুর্নীতি ইস্যুতে কী বলছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূলে চোর আছে তো, চোর সব দলে আছে। যে দল বলবে তার দলে চোর নেই, তার পার্টি অফিসে গিয়ে ঝাঁট দেবো। সোদপুরে এক অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
লোকে বলছে তৃণমূলে চোর আছে। শুনতে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের। তার থেকে বাদ নেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি সোদপুরে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের চোর থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এব্যাপারে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি সেই দল খুঁজছেন, যে দলে একটাও চোর নেই। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, যদি কোনও রাজনৈতিক দল বলতে পারে তাদের দলে চোর নেই, তাহলে তিনি সেই দলের পার্টি অফিসে গিয়ে প্রতিদিন ঝাঁট দেবেন।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। সে শাস্তি পেলে দুঃখ হবে না। অন্যায় করেছেন। দল তার পাশে দাঁড়াবে না, আশ্বস্ত করে বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাতে ধরে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন। আত্মজীবনীতেই সেই কথা লেখা রয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই দুর্নীতির ঘটনায় তাঁর (শোভনদেব) মনে যথেষ্ট মনে দুঃখ ও বেদনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৫০ কোটি টাকা আর নীবর মোদী হাজার কোটি নিয়ে ভারত থেকে চলে গিয়েছে। কে তাঁকে দেশ থেকে বেরনোর রাস্তা করে দিল? তিনি আরও বলেছেন একাধিকবার বিদেশ গিয়েছেন। কীভাবে ভিসা পেতে হয়, কীভাবে বাকি কাজে ধাপে ধাপে যেতে হয় তিনি জানেন। তাহলে কীভাবে হাজার কোটি নিয়ে একজন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারে প্রশ্ন করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
রবিবারের আগে শনিবারেও দুর্নীতি নিয়ে সরব ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় দলের এক কর্মসূচিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা অনৈতিকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম তুলিয়েছেন, তাঁরা অন্যায় করেছেন। এলাকার কৃষকদের সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী এবং স্থানীয় বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, সরকারি ক্ষমতার ব্যবহার করে নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করে বাহবা পাওয়া যায় না। এটাকে কোনওভাবেই কৃতিত্ব বলে ধরে নেওয়া যায় না। চিনি আরও বলেছেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও পদে থেকে যদি তিনি অর্থ নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি অন্যায় করেছেন।