ত্রিপুরায় নির্বাচনের আগে নতুন টিম তৈরি করে ফেলল তৃণমূল
নিউজ ডেস্কঃ রাজীবকে ফের বড় দায়িত্বে নিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভুল স্বীকার করে ফিরে এসেছিলেন তৃণমূলে। তারপর থেকেই তিনি ত্রিপুরা তৃণমূলের বিস্তার বাভের কাজ করছিলেন। বিধানভা নির্বাচনের আগে নতুন টিম তৈরির পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় দায়িত্বে বেছে নিল তৃণমূল।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন সভাপতি পেয়েছেন। তৃণমূলের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি হিসেবে সুবল ভৌমিকের অপসারণের সাড়ে তিনমাস পর পীযুষকান্তি বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরই তৈরি হল নতুন রাজ্য কমিটি। সেখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করা হল।
তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল সম্প্রতি। তৈরি করা হল ব্লক কমিটিও। রাজ্য সভাপতি হিসেবে পীযুষকান্তি বিশ্বাস দায়িত্ব নিয়েছেন। তারপরই রাজ্য কমিটি নির্বাচন হয়েছে। এই কমিটি গঠনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনী কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেব এবং ত্রিপুরা প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি আশিসলাল সিংহ। আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার। তাঁকে ত্রিপুরার ইনচার্জ করা হয়েছে। অর্থাৎ পীযুষকান্তি বিশ্বাসের উপরে থাকবেন তিনি। সর্বভারতীয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ত্রিপুরা দায়িত্ব পালন করবেন।
সুবল ভৌমিক রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন যাঁরা দলের পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন, পীযুষকান্তি বিশ্বাস সভাপতি হয়ে নয়া কমিটিতে তাঁদেরকেই ফিরিয়ে এনেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আশিসলাল সিংহ। যখন তৃণমূলের কিছু ছিল না ত্রিপুরায়, তখন আশিসলাল সিংহই অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সুবল ভৌমিক আহ্বায়ক হয়ে আসার পর থেকেই আশিসলাল সিংহ ব্রাত্য হয়ে যান।
এবার নতুন কমিটিতে আশিসলাল সিংহকে ফিরিয়ে আনা হয়। সেইসঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্বও দেওয়া হয়। তৃণমূলে এই নয়া রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মোট ১১১ জন। আর পীযুষকান্তি বিশ্বাস সভাপতি হয়ে আসার পরই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গতি এনেছে তৃণমূল। আমবাসায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযুষকান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে মিছিল হয়। তারপর হয় জনসভা। এই মিছিল ও জনসভায় ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সাহাও।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল চেড়েছিলেন। চাটার্ড ফ্লাইডে করে দিল্লি উড়িয়ে গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পরই তাঁর মোহভঙ্গ হয়। তিনি তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁকে ফেরানো নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। শেষমেশ ত্রিপুরায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে যোগদান করানো হয়। এবং ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেইথেকেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের মাটি শক্তি করার কাজ করে চলেছেন রাজীব।