‘প্রজাপতি’ সিনেমার স্থান হলো না নন্দনে
নিউজ ডেস্ক::দেব,মমতাশঙ্কর ও মিঠুন অভিনীত ‘প্রজাপতি’ সিনেমা স্থান পেলো না নন্দনে।প্রাথমিকভাবে নন্দনেই হওয়ার কথা থাকলেও শেষে কোনো অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হলো। এই নিয়ে নাটকের পর নাটক। মিঠুন এখন বিজেপির লোক। তাই ওঁর প্রবেশাধিকার নেই নন্দনে, অধিকার নেই ফিল্ম ফেস্টিভেলে।
ছবিতে অভিনেতা এবং তৃণমূল-সাংসদ দেব অভিনয় করেছেন। তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঘনিষ্ঠ মিঠুন চক্রবর্তী। বাবা ও ছেলের সম্পর্ক নিয়ে গল্প। যেখানে মায়ের মতো ছেলেকে আগলে রাখে বাবা এবং সে ছেলের বিয়ে দিতে মরিয়া। ছবিতে অভিনয় করেছেন মমতা শঙ্করও। ‘মৃগয়া’র পর ফের একসঙ্গে কাজ করছেন মিঠুন এবং মমতা। ছবিটি মন জয় করে নিয়েছে সকল দর্শকের। কিন্তু সরকারী হল ‘নন্দন’-এ জায়গা পায়নি এই ছবি। তাই নিয়ে টুইট করেছেন দেব। তিনি লিখেছেন, “এইবার তোমাকে মিস করব ‘নন্দন’। কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। এখানেই গল্পের শেষ।” কিন্তু গল্প তো ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ।’
কেন নাগরিক মহল এর মধ্যে অন্য গল্প খুঁজে পায়েছেন?আসলে সেই ‘আমরা-ওরা’ থিওরী। সরকারী প্রেক্ষাগৃহ ‘নন্দন’-এ ছবি মুক্তি হওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস আলোচনা থামছেই না। বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার পর ‘নন্দন’-এ জায়গা পেল কি না তা নিয়ে ভাঁজ পড়ে অনেকের কপালেই। রাজনৈতিক তরজাও কিছু কম হয় না। এই সংকট নিয়ে নাগরিক মহলের মধ্যে একাধিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই বিষয়ে অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, “কীসের জন্য ‘নন্দন’-এ দেখানো হচ্ছে না ছবি, কেন দেখানো হচ্ছে না, আমি জানি না। এখন তো অনেক ছবিই দেখানো হচ্ছে না ‘নন্দন’-এ। যে রকম ‘কথামৃত’ দেখানো হল না। আমাদের ছবিটাও দেখানো হচ্ছে না। জানি না। হল পাওয়া যাচ্ছে না বা কিছু।” মমতা শঙ্কর বিশেষ কোনো বিতর্কে না গেলেও নিজের উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
নন্দনে মিঠুনকে ব্রাত্য করায় তীব্র সমালোচনা করেছেন বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। তারা তৃণমূলকে প্রতিহিংসা পরায়ণ দল বলে আক্রমণ করেন। দেবকে উদ্দেশ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী লেখেন, “যে দলের আপনি সাংসদ, সেই দলটি কি ভয়ানক প্রতিহিংসাপরায়ণ এবার বুঝলেন তো? আপনার
দলে শিল্পীর ‘রং’ দেখে তবেই তার যোগ্যতার বিচার হয়, তাঁর প্রতিভা দেখে নয়। আর তাই মিঠুন চক্রবর্তী-কে বাদ দেওয়া হয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে, আর তাঁর অভিনীত সিনেমা বাদ দেওয়া হয় ‘নন্দন’ থেকে।” এদিকে বাম নেতারা বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবুর প্রচেষ্টায় যখন ‘নন্দন’ প্রতিষ্ঠিত হয়,তখন নীতি ছিল কোনো রং নয়, ভালো সিনেমাই এখানে স্থান পাবে।