টেট নিয়ে বড় বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের
নিউজ ডেস্কঃ প্রাথমিক টেট নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের বয়সে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হল। আজ মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
আর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইন্টারভিউ-তে অংশ নিতে পারবেন ৪০ পেরিয়ে যাওয়া আবেদনকারীরাও।
বিশেষ করে ২০১৭ সালে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা এই সুবিধা নিতে পারবেন। আদালতের নির্দেশেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রকাশ করেছে। আর তাতে কয়েক হাজার আবেদনকারী সুযোগ নিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে টেট পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এমনকি আজ মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্নদের ডাকা হয়েছিল। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে থেকে একাধিকবার ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে শহর কলকাতা। নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছিল টেট উত্তীর্নরা। তাঁদের দাবি ছিল, টেট উত্তীর্নদের অনেকের বয়স ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে। কীভাবে তাঁরা ইন্টারভিউতে সুযোগ পাওয়া যাবে? তা নিয়ে বারবার পর্ষদ অফিসের সামনে ধর্নাও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আর এরপরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের। আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের বয়সে বিশেষ ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২০১৭ সালের ১২ মে থেকে ২০২১-এর মধ্যে ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে যাদের বয়স তারাই এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন। শুধু তাই নয়, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আলাদা ভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্ণরাও এবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এমনটাই পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট একটি মামলায় নির্দেশ দিয়ে জানায়, প্রাথমিকের নিয়োগে কেন্দ্রীয় টেট (সিটেট) উত্তীর্ণরাও আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ নড়েচড়ে বসে। আর আজ মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল। সিটেট উত্তীর্ণরা এতদিন বাংলার প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যোগ দিতে পারতেন না।
এতে কেন্দ্রীয় টেট উত্তীর্নদেরও সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। নাম জড়িয়েছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যাক্তির। এমনকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকেও। আর সেখানে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পর্ষদের।