তারক দাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে জবরদখলের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের
নিউজ ডেস্কঃ বিধান পরিষদের সদস্য ফুলিয়ার ভূমিপুত্র তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি সংলগ্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে জবরদখলের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের।
শান্তিপুর ফুলিয়ার ভূমিপুত্র হলেও তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচিত ছিলেন জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যে। নদীয়াজেলা স্কুল বোর্ডের সভাপতি বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন সেই সময়। উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের কেন্দ্রীয় সরকার নদীয়া জেলার দায়িত্বে তার হাতে অর্পণ করেছিল। অন্তত জনপ্রিয় জাতীয় কংগ্রেসের এই নেতার মৃত্যু হয়েছিল পথ দুর্ঘটনায়। শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পাড়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপরই এই স্থানে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হয়েছিল সেই সময়।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে ভাঙ্গা পরে বেশ কিছুটা অংশ। অবশিষ্ট সম্পত্তির উপর নজর পড়ে দুষ্কৃতীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগে দুষ্কৃতীরা বাস দিয়ে ঘেরার চেষ্টা করে , অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উঠে যায় জবরদখল। বেশ কয়েকদিন আগে আবারও অভিযোগ ওঠে তারক দাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশিষ্ট জমিতে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা মাটি ফেলে ভরাট করার কাজ চলছে। এই নিয়ে সরব কংগ্রেস। শান্তিপুর শহর কংগ্রেসের সভাপতি রাজু পালের অভিযোগ যারা জবরদখলের চেষ্টা করছে তারা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও এই ঘটনায় বিজেপি দক্ষিণ জেলা সম্পাদক অধ্যাপক ড:সোমনাথ কর জানান, এই রাজ্যে শাসকের দখলের রাজত্ব চলছে। “ভারতীয় জনতা পার্টি মহান মানুষদের সম্মান জানাতে তারা যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই দলের উচ্চ মহলে কথা বলতে পারি “। যদিও কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন কৃত্তিবাস হোক বা কবি জিতেন্দ্র লাল সেনগুপ্ত তাদের স্মৃতি রক্ষা করে এসেছে । আগামী দিনেও তারকদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি ও রক্ষা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।