নাট্যকর্মী অনির্বাণের তীব্র প্রতিবাদ শাসকের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক::ইতিমধ্যে খবরে প্রকাশ যে একটু নাট্য উৎসব করার অনুমতি চাইয়ে বেলেঘাটা তৃণমূলের পার্টি অফিসে আবেদন জমা দিতে গিয়ে ‘বিদূষক নাট্যমণ্ডলী’র নাট্য পরিচালক অমিত ও তাঁর সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনারই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্বাণের বক্তব্য ‘আমি প্রতিবাদ করছি। আরো অনেকের সঙ্গে, এটা জেনেই, যে এই প্রতিবাদ ব্যর্থ হবে। যার গায়ে হাত উঠেছে, তার গায়ে আবার হাত উঠতে পারে শীঘ্রই এবং যিনি হাত তুলেছে, তিনি তার সাহসে বলীয়ান হয়ে বাংলা মায়ের সুযোগ্য সন্তানের অনেকগুলো সার্টিফিকেট ঘরে বাঁধিয়ে রাখবেন। কে জানে হয়তো কালের অদ্ভুত নিয়মে একদিন বাংলার সংস্কৃতি মন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন। দল বদলালে হয়তো ভারতেরও। এটা বা এরকম কিছুই হয়তো হবে। আমি এই ঘটনাকে বুঝে নিতে চাইছি রাজনৈতিক বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে।” অনির্বান মৌমাছির চাকে ঢিল মেরে প্রতিবাদ জানালেন।এবার অনির্বাণে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নাগরিক মহল।
বাংলাকে সংস্কৃতির পীঠস্থান বলা হতো এক সময়। সেই বাংলায় অনির্বানকে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। অনির্বাণের এই প্রতিবাদ চিঠিতে উঠে এসেছে সদ্য অনুষ্ঠিত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাক-স্বাধীনতার স্বপক্ষে অমিতাভ বচ্চনের বক্তৃতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণাবাহিনীকে শাহরুখের একহাত নেওয়ার প্রসঙ্গও।
একই রাজ্যে! কেন? কারণ অমিত সাহা ও অরূপ খাঁড়া পশ্চিমবঙ্গের বোধ করি একটি ভোটকেও ডিস্টার্ব বা পেট্রনাইজ করতে পারেন না। অমিতাভ বচ্চন বা শাহরুখ খান পারেন। তাই, চলুন, আমরা নাটক ছেড়ে একটা মার মার খাওয়ার উৎসবের দিকে এগিয়ে যাই। পশ্চিমবঙ্গে এক অভূতপূর্ব আনন্দযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ভোট রাজনীতিতে কাজে আসে না, এমন শিল্পীদের মেরে ঠান্ডা করে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলার প্রগতিশীল নাট্য কর্মীরা এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। সেই সভায় শাসক দলের অনুগামী কেউ অবশ্য উপস্থিত হওয়ার সাহস দেখাতে পারেন নি। কিন্তু অনির্বাণের মতো অজস্র নাটক পাগল মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেই প্রতিবাদ সভায় এর পরে অনির্বান বলেন, আমি অনির্বাণ। আমার এর পরের অভিনয় ১৫ই জানুয়ারি রবীন্দ্র সদন মঞ্চে। এসে মেরে যান। কারণ এই দিন এর অভিনয়ে ভোট রাজনীতির কোনো মুনাফা নেই। এমন ফালতু ঘটনা রাজ্যে প্লিজ একটাও ঘটতে দেবেন না, অনুরোধ।”