বাংলা জুড়ে ব্যাক টু ব্যাক সভা করবেন মোদী
নিউজ ডেস্ক::বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। বছর ঘুরলেও লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তার আগেই বাংলায় লোকসভা ভোটের দামামা বাজাতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই শাহের বঙ্গ সফর বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাঁর বাংলাতে আসার কথা রয়েছে। বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি দুটি জনসভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহের। বর্তমান পরিস্থিতি একাধিক দুর্নীতির প্রশ্নে চাপে শাসক! সেখানে দাঁড়িয়ে শাহের সভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। গত ভোটে বাংলা থেকে ১৮ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কার্যত গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়ে তৃণমূল। যদিও এরপরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে শাসকদল। অভিষেক নেতৃত্বে বাংলা জুড়ে সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। উল্টে গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সংগঠনেও তথৈবচ অবস্থা। সেখানে দাঁড়িয়ে সামনেই পঞ্চায়েত এবং পরেই লোকসভা। বঙ্গ বিজেপির কাছে ব্যাক টু ব্যাক বড় পরীক্ষা। যদিও বৈতরণী পাড় হতে বঙ্গ বিজেপির কাছে সেই ভরসা মোদী-শাহ-ই।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। সেদিন দুটি লোকসভাতে সভা করবেন তিনি। একটি হুগলির আরামবাগ এবং অন্যটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুর বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির তরফে সেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সভার পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন মোদীর ডেপুটি। সেখানে শুভেন্দু-সুকান্তকে লোকসভার জন্যে টার্গেট শাহ বেঁধে দিয়ে যেতে পারেন বলে খবর।
গত কয়েকদিন আগেই সরকারি একটি কাজে বাংলাতে আসেন অমিত শাহ। আর সেই সময়ে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। আর এরপরেই ফের শাহের বাংলা সফর রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বলে রাখা প্রয়োজন, শুধু অমিত শাহ নয়, ২০২৩ এ বাংলা জুড়ে একাধিক সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নাড্ডারা। জানা যাচ্ছে, ১৩ টি সভা করবেন অমিত শাহ এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ জুড়ে মোট ১৪ টি সভা করবেন মোদী। আর সেই মতোই ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে বলে খবর। এছাড়াও সমস্ত লোকসভা আসনেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সভা করনবেন বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তাঁদের দাবি, ভোট আসলেই পরিযায়ীদের মতো দেখা যায়। এরপর আর পাত্তা পাওয়া যায় না। মানুষ তা বুঝে গিয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। ফলে মোদী-শাহ কোনটাই ফ্যাক্টর নয় বলেও মনে করছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।