পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগের তত্ত্ব ওড়ালেন মমতা
নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। এমন দাবি উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নজরুল মঞ্চে এই কর্মসূচিক উদ্বোধন করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন মানুষ আগে। মানুষের কাছে সরকারের সব পরিষেবা পৌঁছচ্ছে কিনা সেটা জানার জন্যই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। দুয়ারে সরকারও ভোটের পরেই চালু হয়েছিল।
সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কর্মসূচির সূচনা হল। দিদির সুরক্ষা কবচ। নতুন এই কর্মসূচির সূচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের সুযোগ সুবিধা প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হবে। তার জন্য গ্রামে গ্রামে ব্লকে ব্লকে ঘুরবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এমনকী সাংসদ, বিধায়করাও গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাত কাটাবেন। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচির। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী নতুন এই কর্মসূচির সূচনা করতেই নতুন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যেমন একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তেমনই কিছু শুরু করা হচ্ছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই তত্ব খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছতে চায় সেকারণেই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ভোটের জন্য নয়। ভোটের জন্য হলে ভোটের পরে আপ এই কর্মসূচি চালানো হত না। কিন্তু এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে মানুষের জন্য মানুষের কথা ভেবে। যেমন দুয়ারে সরকার ভোটের পরেও চলছে। শুধু ভোটের জন্য হলে ভোটের পরেই সেটা বন্ধ হয়ে যেত।
যদিও সমালোচকদের মতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ব্লকে ব্লকে এই কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেটা সরকারি প্রকল্প ছিল। এটা একেবারে শাসক দল তৈরি করেছে। তাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাতে মানুষের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগাযোগ আরো বাড়বে। এবং সরাসরি মানুষের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যোগাযোগ থাকবে।
সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িয়েছে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও একাধিক নেতা এবং সরকারি আধিকারীক। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই আবার আবাস যোজনা নিয়ে গ্রামে গ্রামে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। সেকারণেই এই কর্মসূচি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।